কয়েক মাস ধরে তাঁর এবং স্ত্রী মাহি ভিজের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে যে কানাঘুষা চলছিল, তা পুরোপুরিভাবে থামার আগেই নতুন করে গুঞ্জন ছড়াল একটি ভাইরাল ভিডিওকে ঘিরে। মুম্বাইয়ের এক সুফি গায়কের কনসার্টে জয়কে দেখা যায় ‘বিগ বস ১৫’-এর সহ-প্রতিযোগী মিশা আইয়ারের সঙ্গে। ভিডিওতে দেখা যায়, দুজনেই জমকালো পোশাকে বেশ খোশমেজাজে কনসার্ট উপভোগ করছেন। জয় পরেছিলেন কালো রঙের একটি শেরওয়ানি, আর মিশা ছিলেন সাদা সালোয়ার-কামিজে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের দু'জনের এই ভিডিও ছড়াতেই তুমুল গুঞ্জন শুরু হয়। ‘জয়ের পাশে কে এই রহস্যময়ী?’ এই প্রশ্ন উঠে আসে নেটপাড়ায়। নেটিজেনদের একটা বড় অংশ এই ভিডিওটিকে জয় ও মাহির দাম্পত্যে চিড় ধরার খবরের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন প্রেমের জল্পনা শুরু করে দেন। যেন ধোঁয়া দেখেই আগুনের সিদ্ধান্ত— এমনটাই ছিল তাদের আচরণ।
ঠিক এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে জয় ও মিশার পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন তাঁদের বন্ধু, অভিনেত্রী আরতি সিং। ‘বিগ বস ১৩’-এর প্রাক্তন প্রতিযোগী আরতি এমন ভিত্তিহীন রটনা শুনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি সরাসরি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির কমেন্ট বক্সে গিয়ে গুজব রটনাকারীদের একপ্রকার তুলোধোনা করেন।
আরতি লেখেন, ‘আপনারা তো যা খুশি তাই লেখেন।
কিন্তু আগে তথ্যটা যাচাই করুন। মিশা ওর (জয়ের) রাখি-সিস্টার।’ অর্থাৎ তিনি জানান, ‘বিগ বস ১৫’-এর ঘরে থাকার সময় থেকেই জয় ও মিশার মধ্যে ভাই-বোনের মতো একটি পবিত্র সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, যা আজও অটুট। আরতির এই দাবির প্রমাণ হিসেবে পুরনো বেশ কিছু ছবিও সামনে আসে, যেখানে মিশাকে রাখি বন্ধনের দিনে জয়ের হাতে রাখি পরাতে দেখা গিয়েছিল।
অন্যদিকে, জয়ের স্ত্রী মাহি ভিজও এর আগে তাঁদের ডিভোর্সসংক্রান্ত সমস্ত জল্পনাকে দৃঢ়তার সঙ্গে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
তিনি একটি ভিডিও বার্তায় এই ধরনের মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন।
নিজের এক ভিডিও বার্তায় মাহি বলেন, ‘আমি কোথাও পড়েছি যে আমি নাকি ডিভোর্স পেপারে সই করেছি! কেউ যদি সেই কাগজটা দেখাতে পারেন, দয়া করে দেখান। যতক্ষণ না আমরা নিজেরা কিছু বলছি, ততক্ষণ আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে কারও হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। আমরা জনসম্মুখে পরিচিত ঠিকই, কিন্তু তার মানে এই নয় যে সবকিছু আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে।’
মাহি আরো বলেন, ‘আমাদের একটু বাঁচতে দিন। আমরা সেলিব্রিটি বলেই সব জানাতে বাধ্য নই। কেউ লিখেছে আমি নাকি ৫ কোটি টাকা খোরপোশ চেয়েছি— আমি বা জয় কেউ কি তা বলেছি? প্রমাণ থাকলে তবেই কথা বলুন। আসলে আমি তো ঠিক জানিই না অ্যালিমনি কী! আমার মতে, যদি একজন পুরুষ নিজের পরিশ্রমে উপার্জন করেন, তাহলে আলাদা হওয়ার পর সেই টাকার ওপর স্ত্রীর কোনও অধিকার থাকা উচিত নয়।’
মাহি বলেন, ‘যতক্ষণ না আমার মুখে কিছু শুনছেন, দয়া করে কোনও খবর বিশ্বাস করবেন না। আমাদের, আমাদের সন্তানদের ও বাবা-মায়ের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন। যদি কিছু বলার প্রয়োজন মনে করি, আমরা নিজেরাই জানাব। জয় আমার পরিবার, এবং সে চিরকাল আমার পরিবারই থাকবে। সে আমার সন্তানের জন্য একজন অসাধারণ বাবা এবং একজন ভাল মানুষ।’
এসএন