দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্যসেবা, উন্নয়ন প্রকল্প ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একদিনে তিনটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) অভিযোগের ভিত্তিতে মৌলভীবাজার, নোয়াখালী ও নেত্রকোনা জেলায় ওই অভিযান পরিচালিত হয় বলে দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা প্রদানে হয়রানি ও নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে দুদকের হবিগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে রোগীদের জন্য সরবরাহ করা খাদ্যের মান ও পরিমাণ যাচাই করা হয়। সরেজমিন পরিদর্শনে হাসপাতালের ওয়াশরুম ও টয়লেটগুলোকে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের পরিপন্থি বলে উল্লেখ করে দুদক টিম।
এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দুদক টিমকে জানান, হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় ডাক্তারের সংখ্যা কম। এছাড়া এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট থাকায় এবং এক্স-রে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকায় রোগীরা প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছেন না। অভিযানে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
অন্যদিকে, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে এমডিএসপি প্রকল্পের আওতায় সরকারি বরাদ্দ করা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট নির্মাণকাজ পর্যবেক্ষণ করা হয়। পাশাপাশি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সব রেকর্ডপত্র উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা হয়। নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর প্রতিবেদন ও সংগৃহীত নথিপত্র পর্যালোচনা করে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক।
এছাড়া নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের ৫৬৪ টন চাল আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ময়মনসিংহ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে নওপাড়া, কান্দিউরা ও কেন্দুয়া বাজার এলাকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার, উপকারভোগী এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করা হয়। একইসঙ্গে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কেন্দুয়ার বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ করে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
পিএ/এসএন