রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইইউ’র সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী পুনর্বাসনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। এসময় তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইতালিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃশ্যমান ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

বুধবার ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন পালাজো চিগিতে ইতালি-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এসব তথ্য জানান।

ইহসানুল করিম আরও জানান, ইতালি ও বাংলাদেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার স্থিতিশীলতা নিয়ে উভয় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বৈঠক শেষে ৯ দফা ঘোষণা করে উভয়পক্ষ। এতে বলা হয়, ইতালি ও বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে সদ্য প্রকাশিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে।

ঘোষণায় আরও বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যূতে আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করছে। এসময় ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেট কোঁতে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের সরকার প্রধান যে ভূমিকা রেখেছেন তা মানবিকতার জন্য দৃষ্টান্ত।

এসময় যৌথ ঘোষণায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশের পারস্পরিক উন্নয়ন, শ্রম বাজার ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আরও নিবিড় সহযোগিতার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়।

উল্লেখ্য, তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গত মঙ্গলবার থেকে ইতালি সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরে তিনি পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। সূত্র: বাসস

 

টাইমস/এসএন/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মুসিয়ালার ইনজুরিতে শোকাহত বায়ার্ন শিবির, কোচের ক্ষোভ Jul 06, 2025
img
বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি ও নতুন এক্সপোর্ট টার্মিনাল নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে : কৃষি উপদেষ্টা Jul 06, 2025
img
বাসায় ফিরলেন সেই 'নিখোঁজ' ব্যাংক কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত কারণে গিয়েছিলেন কুয়াকাটায় Jul 06, 2025
img
ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে আগ্রহের পাশাপাশি হতাশাও রয়েছে: মির্জা ফখরুল Jul 06, 2025
img
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লাগামহীন লুটপাট আওয়ামী লীগ আমলের এক বড় নির্দেশক: আসিফ মাহমুদ Jul 06, 2025
img
মস্কোর দিকে আসা চারটি ড্রোন ভূপাতিত, বিমান চলাচল স্থগিত Jul 06, 2025
img
মালয়েশিয়া থেকে যাদেরকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তারা কোনো জঙ্গি নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 06, 2025
img
হজযাত্রা শেষে দেশে ফিরেছেন ৬৬ হাজারের বেশি হাজি Jul 06, 2025
img
জুনে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি Jul 06, 2025
img
"ভারতীয় গল্পকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দেওয়াই ‘রামায়ণ' নির্মাণের লক্ষ্য" Jul 06, 2025
img
বিয়ে না করেই মা হওয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত দক্ষিণী অভিনেত্রীর! Jul 06, 2025
img
সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য রাজনৈতিক সৌজন্যবোধের পরিপন্থি: ইসলামী আন্দোলন Jul 06, 2025
img
রোগী সেজে চেম্বারে ঢুকে অভিনেত্রী তানিয়ার বাবাকে গুলি Jul 06, 2025
img
যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে ফের কাতারে প্রতিনিধিদল পাঠাবেন নেতানিয়াহু Jul 06, 2025
img
যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে কাতারে প্রতিনিধিদল পাঠাবেন নেতানিয়াহু Jul 06, 2025
পাওয়ারফুল চারটি আমল Jul 06, 2025
১০ জনের দলে যৌন হয়রানি'-এনসিপিকে ইঙ্গিত করে রুমিন ফারহানার তীর্যক মন্তব্য Jul 06, 2025
img
স্বপ্নপূরণে শ্রীলঙ্কার কোকোনাট হিলে শবনম ফারিয়া Jul 06, 2025
জামানত হারানোর শঙ্কায় থাকা দলগুলোই পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চায়: সালাহউদ্দিন আহমেদ Jul 06, 2025
img
হাসিনার পতনের পেছনে কাজ করেছে মার্কিন ‘ডিপ স্টেট’ পলিসি: গোলাম মাওলা রনি Jul 06, 2025