ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএলটি-টোয়েন্টি) বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশের দুই তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। বল হাতে দুজনই দ্যুতি ছড়ালেও দিনশেষে জয়ের হাসি হেসেছেন মুস্তাফিজ। তাসকিনের শারজাহ ওয়ারিয়র্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টের তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে মুস্তাফিজের দল দুবাই ক্যাপিটালস।
শারজাহর বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই কৃপণ বোলিং করেন মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ১টি উইকেট শিকার করেন তিনি। যদিও শেষ ওভারে ১২ রান খরচ করায় তার ৪ ওভারের স্পেল শেষ হয় ২৭ রানে ১ উইকেট নিয়ে।
শারজাহর হয়ে ওপেনার জনসন চার্লস ৪৬ বলে ৪৩ এবং মোনাঙ্ক প্যাটেল ১৩ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেললেও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি দলটি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানে থামে শারজাহ।
দুবাইয়ের হয়ে হায়দার আলী ও ওয়াকার সালামখেইল ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট ভাগ করে নেন মোহাম্মদ নবী, মুস্তাফিজ ও ডেভিড উইলি।
১৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই বিপদে পড়েছিল দুবাই ক্যাপিটালস। তবে শায়ান জাহাঙ্গীর ও জর্ডান কক্সের ব্যাটে চড়ে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। শায়ান ৩৯ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফিরলেও ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখেন কক্স।
শারজাহর হয়ে প্রথম দুই ওভারে ১৮ রান দিলেও নিজের তৃতীয় ওভারে ঘুরে দাঁড়ান তাসকিন আহমেদ। ওই ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ১টি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন তিনি।
তবে ১৯তম ওভারে ১৮ রান আসায় ম্যাচ শারজাহর হাত থেকে ফসকে যায়। শেষ ওভারে জয়ের জন্য যখন মাত্র ১ রান প্রয়োজন, তখন তাসকিনের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে দলের প্লে-অফ নিশ্চিত করেন রভম্যান পাওয়েল। ৪ ওভার শেষে তাসকিনের ঝুলিতে জমা হয় ২৯ রান ও ১টি উইকেট।শারজাহর হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন সিকান্দার রাজা।
এই জয়ে ডেজার্ট ভাইপার্স ও এমআই এমিরেটসের পর তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করল দুবাই ক্যাপিটালস। অন্যদিকে হারলেও শারজাহ ওয়ারিয়র্সের প্লে-অফের স্বপ্ন এখনো সুতোয় ঝুলে আছে। চতুর্থ দল হিসেবে শেষ চারে যেতে হলে নিজেদের শেষ ম্যাচে ডেজার্ট ভাইপার্সকে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে। পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে আবুধাবি নাইট রাইডার্স ও গালফ জায়ান্টস ম্যাচের ফলাফলের ওপর।
এমআর/টিএ