ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ বলেছেন, স্বল্প দৈর্ঘ্যের টেস্ট ম্যাচ খেলাটির ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর। মেলবোর্নে চলমান টেস্টে পিচের আচরণ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেই তিনি এ মন্তব্য করেন।
অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিনেই পড়ে যায় ২০টি উইকেট। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫২ রানে অলআউট হলে, জবাবে ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১১০ রানে।
দ্বিতীয় দিনের সকালের সেশনেই আবারও অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ১৩২ রানে। পাঁচ সেশনে মোট ৩২টি উইকেটের পতন ঘটে।
১৯০৯ সালের পর এই প্রথম কোনো অ্যাশেজ টেস্টের প্রথম দিনে এত উইকেট পড়ল। এর আগে পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্টেও প্রথম দিনেই ১৯টি উইকেট পড়েছিল।
সেই ম্যাচ দুই দিনেই শেষ হওয়ায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বড় অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতি হয়। মেলবোর্ন টেস্টও একই ধরনের আর্থিক ক্ষতির শঙ্কা তৈরি করেছে।
রেডিও সাক্ষাৎকারে টড গ্রিনবার্গ বলেন, ‘ছোট টেস্ট ব্যবসার জন্য ভালো নয়। ব্যাট ও বলের মধ্যে আরো ভারসাম্য দরকার।
’ তিনি জানান, এক দিনের রোমাঞ্চ দর্শকদের জন্য দারুণ হলেও ম্যাচ যেন কয়েক দিন ধরে টিকে থাকে, এটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
মেলবোর্নের পিচে প্রায় ১০ মিলিমিটার ঘাস থাকায় মেঘলা আবহাওয়ায় বোলাররা বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন। সুইং ও বাউন্স ছিল চোখে পড়ার মতো। এ কারণেই সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভন পিচটিকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেন। আরেক সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক একে ‘অন্যায্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ বলে আখ্যা দেন।
অস্ট্রেলিয়ায় পিচ প্রস্তুতে সাধারণত কিউরেটররা স্বাধীনভাবে কাজ করেন। তবে গ্রিনবার্গ ইঙ্গিত দিয়েছেন, খেলাটির বাণিজ্যিক প্রভাব বিবেচনায় ভবিষ্যতে প্রত্যাশা নির্ধারণে আরো সতর্ক নজরদারি প্রয়োজন হতে পারে।
আরআই/টিএ