কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে জেঁকে বসতে শুরু করেছে পৌষের হাড় হিম করা শীত। ইতোমধ্যে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ৯ ডিগ্রির ঘরে। ফলে কনকনে শীতে সর্বত্রই জবুথুবু অবস্থা। এই অবস্থায় দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে কুয়াশার দাপট। সেই সঙ্গে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা আগামী কয়েকদিনও অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানিয়েছেন, সোম ও মঙ্গলবার (২৯-৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এ দু’দিন মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে। এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এই আবহাওয়াবিদ জানান, সোমবার সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে মঙ্গলবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। এছাড়া এই দু’দিন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। পাশাপাশি মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে। এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। তবে এদিন তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
অন্যদিকে নতুন বছরের প্রথম দু’দিন (১-২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এই সময়ে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। আর এই দু’দিনে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের নিকলিতে দেশের সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর এই সময়ে রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অবস্থায় বর্ধিত ৫ দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
কেএন/টিকে