ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩-০ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা। তবে সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে গম্ভীরকে সরানোর কোনো পরিকল্পনা আপাতত তাদের নেই।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোতে গুঞ্জন উঠেছিল যে, টেস্ট সংস্করণে গম্ভীরকে সরিয়ে ভিভিএস লক্ষ্মণকে দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। তবে বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন,‘গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যে জল্পনাকল্পনা চলছে, সে বিষয়ে আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই। গম্ভীরকে সরানোর বা নতুন কোনো কোচ আনার কোনো পরিকল্পনা বোর্ডের নেই।’
একই সুরে বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া বলেন,‘গম্ভীরকে সরিয়ে দেয়ার খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং অনুমাননির্ভর গুজব। কিছু স্বনামধন্য সংবাদ সংস্থাও এটি প্রচার করছে, যার মধ্যে বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। বিসিসিআই এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’
২০২৪ সালের জুলাই মাসে দায়িত্ব নেয়ার পর গম্ভীরের অধীনে ১৯টি টেস্ট খেলে ভারত জয় পেয়েছে মাত্র ৭টিতে। ভারতের কোচদের মধ্যে একমাত্র গম্ভীরই ঘরের মাঠে দুবার টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার তেতো স্বাদ পেয়েছেন। তার অধীনে ভারত ঘরের মাঠে এ পর্যন্ত ৫টি টেস্ট হেরেছে, যা ভারতের অন্য কোনো প্রধান কোচের আমলে হয়নি। এই শোচনীয় পারফরম্যান্সের কারণেই সমর্থক ও বিশ্লেষকদের তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। নিন্দুকেরা এমনকি তাকে রঞ্জি ট্রফির দল দিয়ে কোচিং শুরু করারও পরামর্শ দিয়েছেন।
গম্ভীরের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ২০২৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। আপাতত টেস্টের চেয়ে তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে প্রায় নতুন এক দল নিয়ে ঘরের মাঠে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামবেন গম্ভীর।
অন্যদিকে, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার সমীকরণ এখন ভারতের জন্য অত্যন্ত কঠিন। আগামী বছর আগস্টে শ্রীলঙ্কা সফর এবং পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ড সফরের পর ২০২৭ সালের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে নামবে ভারত। লর্ডসের ফাইনালে জায়গা করে নিতে হলে ভারতকে তাদের হাতে থাকা শেষ ৯টি টেস্টের মধ্যে অন্তত ৭টিতেই জিততে হবে।
আরআই/টিএ