পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের মেয়ে মাহনূরের বিয়ে হয়ে গেল অনেকটা নিভৃতেই। এই বিয়ের খবর তেমন করে চাউরও হয়নি। গত ২৬ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে চাচতো ভাই আব্দুল রেহমানের সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা এবং সামরিক ব্যক্তিত্বরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে শেষ করা হয়েছে এবং কোনো ছবি প্রকাশ করা হয়নি।
এই বিয়ের অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, আইএসআই প্রধান এবং বর্তমান ও সাবেক সেনাপ্রধানসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আসিম মুনিরের ভাইপো আব্দুল রেহমান আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সেনা কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত কোটার মাধ্যমে সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন এবং বর্তমানে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পাকিস্তানি সাংবাদিক জাহিদ গিশকোরির মতে, বিয়েতে প্রায় ৪০০ অতিথি উপস্থিত ছিলেন। তবে নিরাপত্তা জনিত কারণে পুরো আয়োজনটি ছিল বেশ সাধারণ ও নিভৃত। জেনারেল মুনিরের চার মেয়ের মধ্যে এটি ছিল তার তৃতীয় মেয়ের বিয়ে।
গিশকোরি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে একটি ভিডিওতে জানিয়েছেন, আসিম মুনিরের মেয়ের সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের ছেলের বিয়ে হয়েছে। অপর এক সাংবাদিক রাজা মুনিবও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাজা জানান, মুনির তাঁর মেয়েকে ভাই কাসিম মুনিরের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন।
সম্প্রতি এক ভাষণে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে বিশ্বের সব মুসলিমকে একজোট হওয়ার বার্তা দেন মুনির। বলেন, যদি আপনারা গোটা বিশ্বের দিকে তাকান দেখবেন সব মুসলিম রাষ্ট্রগুলি প্রবল সমস্যার মুখে। গত ২০ বছরে ৭ থেকে ৮টি সুন্দর মুসলিম রাষ্ট্র ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয়, আজ মুসলিম বিশ্ব সেই লোকেদের প্রতারণা, কূটনৈতিক চাল ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে যারা মুসলিমদের পতন চায়।
সব মুসলিম রাষ্ট্রগুলির উদ্দেশে মুনির বলেন, আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। সেসব লোকেদের হৃদয়ে ত্রাস সৃষ্টি করতে হবে যারা আল্লার শত্রু। আমাদের শত্রু। তাঁদের সবাইকে আমরা না চিনলেও আল্লা চেনেন।
আরআই/টিএ