খুলনায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, প্রস্তুত প্রশাসন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’-এর প্রভাবে খুলনা অঞ্চলে কিছুটা ঝড়ো বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সামান্য রোদের দেখা মিললেও দুপুর থেকে আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। মাঝেমধ্যে বইছে হালকা ও মাঝারি দমকা বাতাস। সেই সঙ্গে পড়ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, ইতিমধ্যে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাব পড়েছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলা খুলনায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার ৩৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৬০৮টি কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলা খুলনায় সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে জরুরি চিকিৎসাসেবায় ১১৬ টি মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটিও।

খুলনা জেলা সহকারী আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, মঙ্গলবার বেলা ১২টার আবহাওয়ার বুলেটিন অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার এবং পায়রা বন্দর থেকে ৬৯০ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের অগ্রভাগ বাংলাদেশে ঢুকে পড়ায় তার প্রভাবে খুলনা অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে, মঙ্গলবার থেমে থেমে এই বৃষ্টিপাত হবে। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইতোমধ্যে ৬০৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে করোনায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উপজেলা প্রশাসনকে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জরুরি চিকিৎসার জন্য ১১৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: