করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে লকডাউনে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন মানুষ। এই মহামারিতে ঘরে থাকতে থাকতে অনেকেই অনিদ্রা বা ইনসমনিয়ায় ভুগছেন। অথচ, এই পরিস্থিতিতে কম ঘুম বা অনিদ্রা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অপর্যাপ্ত ঘুমে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যেতে পারে।
ঘুম বা নিদ্রা হচ্ছে মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের ফাঁকে বিশ্রাম নেয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ঘুম কম হলে, মানুষের শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়, রক্তে শর্করা বাড়ে, রক্তচাপ বাড়ে। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এ অবস্থা দীর্ঘমেয়াদি হলে ক্লান্তি, অবসাদ, মনোযোগহীনতা, চিন্তা ও স্মৃতিশক্তির সমস্যা, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
চলুন জেনে নিই, লকডাউনে অনিদ্রা কাটাতে করণীয়
- লকডাউনের এই সময় সবার রুটিনের ব্যত্যয় ঘটছে। তারপরও রুটিন মেনে চলার চেষ্টা করুন। নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যাওয়া, আর নির্দিষ্ট সময় ওঠার অভ্যাস ধরে রাখুন।
- চোখে ঘুম এলেই কেবল বিছানায় যাবেন। বিছানায় যাওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে ঘুম না এলে উঠে পড়ুন। বই পড়ুন অথবা গান শুনুন, কিংবা পছন্দের কিছু করুন। তাই বলে স্নায়ু উদ্দীপ্ত করে এমন কিছু, যেমন করোনার সংক্রমণের সংবাদ দেখা-শোনা, সিনেমা দেখা ইত্যাদি করবেন না।
- শোবার ঘর ও বিছানা শুধু ঘুমানোর জন্যই ব্যবহার করতে হবে। বিছানায় ল্যাপটপে কাজ করা, মুঠোফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকা, গেমস খেলা, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি উচিত নয়।
- ঘুমের সময়ের ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে চা-কফি ইত্যাদি পান করবেন না।
- দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস ত্যাগ করুন। যাদের ঘুমের সমস্যা হচ্ছে, তারা দিনের বেলা ঘুমানো বাদ দিন।
- এ সময় মানসিক চাপ কমাতে অতিরিক্ত করোনা মহামারিসংক্রান্ত সংবাদ, টক শো ইত্যাদি দেখবেন না। ঘুমের আগে তো নয়ই।
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কিছুতেই ঘুমের ওষুধ সেবন করবেন না। বিশেষ করে, যাদের সচরাচর ঘুমের সমস্যা হয় না, তারা তো নয়ই। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
টাইমস/জিএস