ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ১২ জনের

ঈদ উৎসবের ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। ঢাকা ছেড়ে গ্রামে ছুটছে সবাই। এরই মধ্যে এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাংক কর্মকর্তা, নারী ও শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

শুক্রবার সকালে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেটে একই পরিবারের চারজনসহ ৫ জন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ৩ জন, হবিগঞ্জের বাহুবলে ৩ জন ও বগুড়ার শেরপুরে একজন নিহত হয়েছেন।

জানা গেছে, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনসহ ৫ জন নিহত হন। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন আরও এক শিশু। হতাহতরা সবাই প্রাইভেটকারের যাত্রী। ঈদের আগের দিন শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে তাজপুরের বড়াইয়া চাঁনপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তাজপুর এলাকার চাঁনপুরে সিলেটগামী প্রাইভেটকারের সঙ্গে কুমিল্লাগামী কুমিল্লা ট্রান্সপোর্টের একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান প্রাইভেটকারের ৫ যাত্রী।

নিহতরা হলেন- এনজিও কর্মী স্বপন কুমার দাস, তার স্ত্রী লাভলী রানী সরকার, তাদের যমজ সন্তান শৈবাল ও সাজন। তাদের অপর এক সন্তান সৌরভ আহত হয়েছেন। নিহত অপরজন ওই প্রাইভেটকারের চালক আবদুল হাসিম।

এদিকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কাভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন। হতাহতরা সবাই বন্ধ কাভার্ডভ্যানের মধ্যে ছিল।

শুক্রবার ভোরে উপজেলার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের নুনদহ ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাভার্ডভ্যান খুলে হতাহতদের উদ্ধার করে। নিহতরা হলেন- রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বানেস্বর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান, গঙ্গাচড়া উপজেলার কিশমতপুর গ্রামের সাহেব মিয়া, একাই উপজেলার ইসমতপুর গ্রামের কাজল মিয়া।

অপরদিকে হবিগঞ্জের বাহুবলে বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার ভোরে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পুটিজুরী এলাকার আবদানানায়ণ কালিবাড়ি সংলগ্ন সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দশঘর গ্রামের রুহেলের স্ত্রী শাহিদা, ফিরোজ মিয়ার মেয়ে মালেহা। তবে অপর নিহত ব্যক্তি প্রাইভেটকারচালকের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকা ও গাজীপুর থেকে ঈদুল আজহার ছুটিকে গার্মেন্টস শ্রমিক শাহিদা স্বামীসহ একই এলাকার তিন সহকর্মীকে নিয়ে শুক্রবার ভোরে প্রাইভেটকারযোগে গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে। বিপরীত দিক থেকে আসা মনোহরদী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক ও গার্মেন্টস কর্মী মালেহা নিহত হন এবং চারজন গুরুতর আহত হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া বগুড়ার শেরপুরে অজ্ঞাত দ্রুতগামী যানবাহনের চাপায় চাঁন মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত চাঁন মিয়া শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর নামাপাড়া এলাকার মৃত রহমত আলীর ছেলে। সকালে স্থানীয়রা রাস্তার পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ