যশোরে বাসে নারীকে ধর্ষণ: ৭ আসামি কারাগারে

যশোরে বাসের মধ্যে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদৎ হোসেনের আদালতে তাদের হাজির করলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- যশোর সদর উপজেলার রামনগর ধোপাপাড়ার বাস শ্রমিক মনিরুল ইসলাম, শহরের বারান্দী মোল্লাপাড়া এলাকার শাহিন হোসেন জনি, সিটি কলেজপাড়ার কৃষ্ণ বিশ্বাস, সুভাষ সিংহ, বারান্দী কাঁঠালতলা বৌবাজার এলাকার রাকিবুল ইসলাম রকিব, বারান্দীপাড়ার কাজী মুকুল এবং বেজপাড়া কবরস্থান রোড এলাকার মঈনুল ইসলাম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইনসপেক্টর শেখ আবু হেনা মিলন জানান, নির্যাতনের শিকার নারী বাদী হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার দিন আটক ৭ জনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায়। তিনি রাজশাহীর একটি ক্লিনিকে আয়া হিসেবে কর্মরত। ছুটিতে বাড়ি আসার সময় সাধারণত এমকে পরিবহনে আসেন। সেই সুবাদে এমকে পরিবহনের হেলপার মনিরুল ইসলাম ওরফে মনিরের সঙ্গে পরিচয় হয়। মাঝে মধ্যে তাদের মোবাইল ফোনে কথাও হয়।

৮ অক্টোবর বাড়ির যাওয়ার জন্য রাজশাহী থেকে এমকে পরিবহনে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। গাড়িতে আসার সময় মোবাইলে মনিরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মণিহার মোড়ে নামতে বলে। এরপর তার কথা মত রাত আনুমানিক ১১টার দিকে মণিহার মোড়ে নামলে সেখানে একটি হোটেলে এক সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেন তারা।

এরপর মনিরুল ইসলামকে ওই নারী বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বললে মনিরুল তার নিজের গাড়ি এমকে পরিবহনের মাধ্যমে নিউমার্কেটে নিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে দেয়ার কথা বলে। এসময় ওই নারী সরল বিশ্বাসে রিকশায় মনিরুলের সঙ্গে বকচর কোল্ডস্টোরের পাশে রাখা এমকে পরিবহনে ভিতরে যায়। এরপর রাত ১টার দিকে তাকে ধর্ষণ করে মনিরুল।

পরবর্তীতে রাত দেড়টার দিকে আসামি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মঈনুল ইসলাম মঈন, কাজী মুকুল, শাহীন আহমেদ জনি, সুভাষ সিংহ, কৃষ্ণ বিশ্বাস এসে গাড়ির দরজা ধাক্কাধাক্কি ও গালাগাল করে। একপর্যায়ে মনিরুল গাড়ির দরজা খুলে দিলে ওই নারী বের হতে চাইলে আসামিরা তাকে আটকে রাখে। আসামি রাকিবুল, মঈনুল ইসলাম মঈন ও কাজী মুকুল বাসের মধ্যে উঠে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় সে চিৎকার চেঁচামেচি করলে অন্যান্য আসামিরা সবাই মিলে তাকে ও মনিরুলকে চড় কিল ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। তারা ব্যাগে থাকা ৫ হাজার টাকা চুরি করে নেয়। আশপাশের লোকজনে এগিয়ে আসে। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: