দীর্ঘদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকার পর আবারো শিক্ষার্থীদের নতুন ভিসার আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া চালু করতে চলেছে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) দূতাবাস কর্তৃক প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।
আগামী রোববার (১৫ নভেম্বর ) থেকে সীমিত আকারে শিক্ষা ভিসার আবেদন গ্রহণ ও সাক্ষাতকারের জন্য সময় দেওয়ার প্রক্রিয়া সীমিত আকারে শুরু করা হবে। এক্ষেত্রে এফ (অ্যাকাডেমিক ও ল্যাঙ্গুয়েজ), এম (ভোকেশনাল) ও জে (এক্সচেঞ্জ ভিজিটরস) ক্যাটাগরিতে ভিসার জন্য প্রথমবার যারা আবেদন করছেন শুধুমাত্র তাদেরকেই এ সুবিধা দেয়া হবে।
এছাড়াও এফ-২ ভিসার অধীনে স্বামী/স্ত্রী বা তাদের ২১ বছরের কম বয়সী সন্তানের ভিসা নবায়নের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়া ‘জীবন-মৃত্যুর মতো অত্যন্ত জরুরি’ পরিস্থিতিতে আবেদনকারীদের জন্য জরুরি ভিসা কার্যক্রম সবসময়ই চালু রাখা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কোভিড-১৯ এর কারণে দূতাবাসের প্রাত্যহিক কর্মতালিকায় সাক্ষাতকারের সংখ্যা সীমিত থাকবে এবং ভিসা প্রসেস করার জন্য ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। বিষয়টি মনে রেখে আবেদনকারীদের ভিসার আবেদন ও ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।”
দূতাবাসের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (www.ustraveldocs.com/bd) লগ ইন করে আবেদনকারীর প্রোফাইল হালনাগাদ করতে হবে এবং ভিসা ফি দেওয়ার পরে অনলাইন সাক্ষাৎকারের সময় নিতে হবে।
এই আবেদন ফি ব্যবহার করে সাক্ষাতকারের জন্য সময় নেওয়া যাবে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং নিয়মিত ভিসা সেবা কার্যক্রম পুনরায় চালু না হওয়া পর্যন্ত জমা দেওয়া এই আবেদন ফি (এমআরভি) বৈধ থাকবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত যেসব শিক্ষার্থী একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া চালিয়ে যাবেন তাদেরকে সাক্ষাতকার ছাড়াই স্টুডেন্ট ভিসা নবায়নের সুযোগ দেওয়া হবে।
ইউনেস্কোর তথ্য অনুযায়ী, উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রতি বছর প্রায় ৭০ থেকে ৯০ হাজার শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে বিদেশে গমন করেন। এর বড় একটি অংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ভিসা প্রদান কার্যক্রম স্থগিত থাকায় প্রস্তুতি পর্যায়ে থাকা অনেক শিক্ষার্থীকে বিপাকে পড়তে হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিভেন বিগান অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে এলে তার কাছেও বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

টাইমস/এনজে

Share this news on: