মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে প্রতিটি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নার্সদেরও পরীক্ষা হবে। স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ২২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীরও পরীক্ষা নেওয়া হবে। করোনার মধ্যে এই পরীক্ষা বন্ধ থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শনিবার মানিকগঞ্জে ১০টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার সময়ে ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগে শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে একটি বছর নষ্ট হয়ে যাবে, তা ঠিক হবে না। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্যসেবা দিতে হলে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। মানিকগঞ্জ ঢাকার খুব কাছের হলেও স্বাস্থ্যসেবায় খুব পিছিয়ে ছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর হলেও এ জেলার লোকজন খুব একটা উন্নয়ন পাননি। অন্যান্য জেলার তুলনায় এখানে স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থার মান ভালো।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে স্বাস্থ্যসেবার মান অনেক এগিয়ে গেছে। প্রতিটি জেলা সদরের হাসপাতাল ২৫০ শয্যার হচ্ছে। ৩৮টি মেডিকেল কলেজ নির্মিত হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হবে। এটি প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার এবং তা বাস্তবায়ন করা হবে। চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে অনুমোদন হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে রাজশাহী ও চট্টগ্রামে দুটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ হবে।

করোনা মোকাবিলার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার সময়ে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা দপ্তর লকডাউন ছিল। শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্যসেবায় কোনো লকডাউন ছিল না। প্রতিটি মুহূর্তে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
‘ট্রেটর্স’ জিতেও শান্তি নেই, শুভেচ্ছার বদলে হুমকি পাচ্ছে উরফি! Jul 04, 2025
img
দীর্ঘ বিরতির পর আবারও মঞ্চে ব্ল্যাকপিঙ্ক Jul 04, 2025
img
সংবিধান ছুড়ে ফেলার কথা বললেই তা বাতিল হয়ে যায় না: রিজভী Jul 04, 2025
img
তিন সপ্তাহ পর ইরানে অবতরণ করল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট Jul 04, 2025
img
পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপে কোনো অগ্রগতি হয়নি : ট্রাম্প Jul 04, 2025
img
আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি চাঁদা দাবি করে, সে আমার লোক নয় : সারজিস Jul 04, 2025
এখনও কোটা বহাল! বুয়েট বন্ধ করে দিতে বললো শিক্ষার্থীরা! Jul 04, 2025
img
বৈধ উৎস নেই, তারিক সিদ্দিকের সম্পদ বাজেয়াপ্তের আহ্বান Jul 04, 2025
গোলাম মাওলা রনির প্রতি সরাসরি অভিযোগ প্রেস সচিবের Jul 04, 2025
বাংলাদেশপন্থী কারা, হাসনাত আব্দুল্লার উত্তর Jul 04, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, রোধ হবে দুর্নীতি : মাসুদ সাঈদী Jul 04, 2025
img
বিএনপিতে কোনো হাইব্রিডদের জায়গা হবে না : আহমেদ আযম খান Jul 04, 2025
img
দিয়োগো জোতার সম্মানে তার ২০ নাম্বার জার্সি তুলে রাখলো লিভারপুল Jul 04, 2025
img
‘আমায় পাকিস্তানি বললেও চলবে’, পুরনো মন্তব্যে ফের বিতর্কে কারিনা Jul 04, 2025
img
বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ স্থগিত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিসিবি Jul 04, 2025
img
আমাদের বিচ্ছেদ পারসোনাল ইস্যু ছিলো না, ছিল ন্যাশনাল ইভেন্ট: মিথিলা Jul 04, 2025
img
ফিরছে ‘গাল্লি বয়’, তবে এবার নতুন মুখে ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে Jul 04, 2025
img
টিকটক তারকা ক্রিস্টোফারকে গুলি করে হত্যা Jul 04, 2025
img
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারাল শতাধিক মানুষ Jul 04, 2025
কঙ্গনার ব্যক্তিগত ছবি চাইতেন হৃতিক, পাঠাতেন নিজের ছবিও Jul 04, 2025