পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক আরোপ হতে পারে

পেঁয়াজ আমদানিতে আবারও ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের চিন্তা করছে সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এ বিষয়ে প্রস্তাব দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

রোববার (৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মনুশি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বছরের মার্চ মাসে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপক পেঁয়াজ সংকট দেখা দেয়। কয়েকদিনের মধ্যেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার তাৎক্ষনিক মিশর, তুরস্ক, পাকিস্তান, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরিকল্পনা করে।

প্রায় তিনমাস পর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করেছে। এখন দেশের আমদানিকারকরা ঝুঁকে পড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানিতে। এরই মধ্যে গতকাল দেশে প্রায় ৪২২ টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করেছে ব্যবসায়ীরা। এসব পেঁয়াজ সাতক্ষীরার ভোমরা ও দিনাজপুরের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ঢুকেছে।

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ দেশে ঢুকবে। এমন অবস্থায় পেঁয়াজ আমদানির ওপর ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে মন্ত্রণালয়।

এদিকে রোববারের সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একটা প্রস্তাব করব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে কী করা যায় তারা সেটা করবে এনবিআর।

মন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের পেঁয়াজ আমরা নেব কি নেব না, কী পরিমাণ ডিউটি আরোপ করব, এটা আমাদের দেশীয় কৃষক, উৎপাদক ও ভোক্তাদের স্বার্থ বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হোক। আমি এটাই চাই। কোনো অবস্থাতেই যাতে উৎপাদকরা ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ এখন বাজারে আসতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় আমদানি করা ভারতের পেঁয়াজ দেশের কৃষকদের বিপাকে ফেলবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় আরেকটা কথা আমি বলবো, তা হলো- ভারত যে সময় পেঁয়াজ দেয়া বন্ধ করেছে সেই সময় আমরা তুরস্ক, মিশর, চীনসহ অন্যান্য অনেক দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছি। তখন যে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা ছিল, এখনও সেটা বলবৎ থাকা দরকার।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমদানি শুল্ক বাড়বে কিনা এ বিষয়ে আজ আলোচনা হবে। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যদি দেখি ভারতের পেঁয়াজ ৩৯ টাকায় ঢুকছে, তাহলে আর আতঙ্কের কিছু নেই।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: