গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ঘুষগ্রহণ, অনিয়ম, অনৈতিক কার্যক্রম ও কারাবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ যেন পিছু ছাড়ছেই না। এবার দেশের আর্থিক খাতের আলোচিত কেলেঙ্কারি প্রতিষ্ঠান হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদকে কারা অভ্যন্তরেই নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করে দিয়ে নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে উর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে প্রধান করে উপসচিব (সুরক্ষা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লাহ ও ডিআইজি (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে একই ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবুল কালামকে প্রধান করে ওই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা ও ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী।
এদিকে কারাগারের সিসি টিভি ফুটেজের একটি ভিডিও গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি কারাগারে প্রবেশের মাঝে কর্মকর্তাদের অফিস এলাকায় কালো রংয়ের জামাকাপড় পরে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করছেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ। তিনি কর্মকর্তাদের অফিসে আসার কিছুক্ষন পর বাইরে থেকে বেগুনি রংয়ের সালোয়ার কামিজ পরা এক নারী অফিসে প্রবেশ করেন।
কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইনের উপস্থিতিতেই ওই নারীকে নিয়ে কারা অফিসে একাধিকবার ঘুরাঘুরি করেন তুষার আহমেদ। এসময় কারা কর্মকর্তারা তুষার আহমেদ ও তার নারীসঙ্গীকে একটি কক্ষে অবস্থান নিতে সহযোগিতা করেন। যা ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট হওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জানতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জেল সুপার রত্না রায়কে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবুল কালাম গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
টাইমস/এসএন