শিশুকালের খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব বয়ে বেড়াতে হবে বাকী জীবন, এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের। শিশুকালে অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস আমাদের মাইক্রোবায়োমকে চিরতরে বদলে দিতে পারে। এমনকি পরবর্তী জীবনে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললেও এটি খুব একটা পরিবর্তন হবে না।
জার্নাল অব এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজিতে প্রকাশিত হওয়া সাম্প্রতিক কালের একটি গবেষণায় এমনটিই দাবি করা হয়।
মাইক্রোবায়োম বলতে মূলত মানবদেহ বা প্রাণীদেহে বসবাসকারী বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস সহ বিভিন্ন অণুজীবের সমষ্টিকে বোঝায়। এইসব অণুজীবগুলির মধ্যে বেশিরভাগই মানবদেহের জন্য উপকারী। এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, খাদ্য সংশ্লেষণ, ভিটামিন শোষণসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক ক্রিয়ায় সহায়তা করে থাকে।
মানবদেহ সুস্থ রাখতে এইসব অণুজীবের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বা অন্যকোনও ভাবে এই ভারসাম্য নষ্ট হলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে ইঁদুরের উপর চালানো গবেষণা থেকে বিজ্ঞানীরা এসব তথ্য জানতে পেরেছেন। গবেষকরা বলছেন, পরবর্তী জীবনে সুস্থ থাকতে শিশুকালের খাদ্যাভ্যাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। ছোট থেকেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের অভ্যাস গড়ে তুললে তা সারাজীবন সুস্থ থাকতে সহায়তা করে। তথ্যসূত্র: সাইন্স ডেইলি
টাইমস/এনজে/এসএন