বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, হু ইজ পরীমনি? পরীমনিকে নিয়ে খুব লাফালাফি হচ্ছে। মূলত সরকার পরীমনি ইস্যু দিয়ে ডাইভারশন করছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করতে, প্রতারণা করতে সরকার এধরণের নানা ইস্যু তৈরি করে সামনে নিয়ে হইচই ফেলে দেয়। এভাবে দেশের মানুষ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছে।
বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য, তার মুক্তি নিয়ে কথা উঠছে। যখন দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা উঠছে, যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চরম ব্যর্থতা নিয়ে কথা উঠছে, ঠিক তখনই সরকার সেটাকে পরীমনি ইস্যু দিয়ে ডাইভারশন করছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা আওয়ামী লীগের পক্ষেই সম্ভব। এ রকম কৌশল করেই তারা সমস্ত জাতিকে বিভ্রান্ত করে রেখেছে।
নায়িকা পরীমনির মামলার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি জানি না কী সত্য, কী ঘটনা, না ঘটনা। কিন্তু এই ঘটনাটা দেখে মনে হয়েছে যে, এভরিথিং ইজ পোসিবল ইন দিস কান্ট্রি। মামলা করল একটা আর আরেক ঘটনার অপরাধের দায়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হল। রিমান্ড কিন্তু পরীমনির মামলায় হয়নি। এখানেই খটকা লেগেছে। আমি বুঝিনি, সত্যি বলছি আমি বুঝতে পারিনি ব্যাপারটা। আপনারা মামলা করলেন ধর্ষণ এবং হত্যার চেষ্টা। আর তাকে (আসামি নাসির উদ্দিন) রিমান্ডে নিচ্ছেন মাদক মামলায়। যেখান থেকে তাকে অ্যারেস্ট করেছে সেই বাড়িটিও তার নয়, এটা আরেক জনের বাসা। আমার কাছে এসব বোধগম্য নয়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য সচিব শ্যামা ওবায়েদের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও অংশ নেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল হাই শিকদার, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, দৈনিক দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, বিএফইউজের একাংশের সাবেক মহাসচিব এমএ আজিজ প্রমুখ।
টাইমস/এসএন