বিষণ্ণতা এমন এক মানসিক অবস্থা যখন সব কিছুর উপরই মনের মধ্যে এক ধরণের বিতৃষ্ণা জেগে ওঠে। দৈনন্দিন জীবনে নানা কারণে মানুষের মধ্যে বিষণ্ণতা দেখা দেয়। তবে কোভিড-১৯ মহামারীর এই সময়কালে মানুষের মধ্যে বিষণ্ণতার হার অনেকটাই বেড়ে গেছে। তবে অত্যন্ত আশার কথা হলো বিজ্ঞানীরা বলছেন শুধু মাত্র একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুললে বিষণ্ণতা হ্রাস পাবে অনেকটা।
এ বিষয়ে গত ২৬মে জামা সাইকিয়াট্রি জার্নালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়েছে, স্বাভাবিকের থেকে মাত্র ১ ঘণ্টা আগে ঘুম থেকে উঠলে একজন ব্যক্তির বিষণ্ণতা হার কমে যেতে পারে ২৩% পর্যন্ত!
গবেষণাটি যৌথভাবে ইউনিভার্সিটি অব কলোরেডো বোল্ডার, বোর্ড ইন্সটিটিউট অব এমআইটি ও হার্ভাডের গবেষকগণ পরিচালনা করেছেন। এতে ৮,৪০,০০০ মানুষের উপর পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। ফলাফলে দেখা গেছে নির্দিষ্ট সময় ঘুমালে এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে বিষণ্ণতার ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস হয়।
গবেষকগণ বলছেন, কোভিড-১৯ এর কারণে স্কুল-কলেজ, অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি দূর-নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ায় অনেকের মধ্যে দেরিতে ঘুমানো এবং দেরিতে ওঠার অভ্যাস তৈরি হয়েছে। এই অভ্যাস বিষণ্ণতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
গবেষণাপত্রটির সিনিয়র লেখক সেলিন ভ্যাটার এ বিষয়ে বলেন, “আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই জানি যে, ঘুমের সময় এবং মুডের সাথে এক ধরণের সম্পর্ক আছে। কিন্তু ঘুমের সময় কতটা এগিয়ে আনলে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে? গবেষকগণ দীর্ঘদিন ধরে এর উত্তর খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “গবেষণার মাধ্যমে আমরা দেখতে পেয়েছি যে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার সময়কাল মাত্র এক ঘণ্টা এগিয়ে আনলেও তা ইতিবাচক ভাবে বিষণ্নতা দূর করতে কার্যকর।”
গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক ইলিয়াস ডগলাস এ বিষয়ে বলেন, “আপনার দিনকে উজ্জল রাখুন আর রাতকে রখুন অন্ধকার। সকালে নাস্তার টেবিলে কফি রাখুন এবং সম্ভব হলে হেঁটে অফিস যাওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
তথ্যসূত্র: সাইন্স ডেইটি
টাইমস/এনজে