ফোনে আড়িপাতা প্রতিরোধে পদক্ষেপ জানতে বিটিআরসিকে নোটিস

ফোনালাপে আড়ি পাতা প্রতিরোধে নেয়া পদক্ষেপ জানতে চেয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানের দপ্তরে রেজিস্ট্রার ডাকে নোটিসটি পাঠানো হয়।

মঙ্গলবার সাত দিনের মধ্যে এই বিষয়ে জানতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে নোটিসটি পাঠিয়েছেন আইনজীবী শিশির মনির।

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, “গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানাতে সাত দিনের সময় দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে জবাব না পেলে বা জবাব গ্রহণযোগ্য না হলে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হবে।”

২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৬টি আড়ি পাতার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে নোটিসে।

এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ফোনালাপ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ফোনালাপ, প্রয়াত বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ ও রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসানের ফোনালাপ ফাঁসের কথাও বলা হয়েছে।

নেটিসে বলা হয়, সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সংবিধানে এই অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।

নোটিসে ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চের দেয়া রায়ে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয়ে পর্যবেক্ষণও তুলে ধরা হয়েছে।

ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এ ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ও সেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর দায়িত্ব সর্বাধিক। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ তাদের দায়িত্ব। তারা আইনের বিধান ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত যোগাযোগের তথ্য প্রদান করতে পারে না।

 

টাইমস/এসজে

Share this news on: