কৃষক থেকে হতে চলেছেন প্রকৌশলী, সুযোগ পেয়েছেন তিনটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে

সজীব হাসান শান্ত। বয়স মাত্র ১৯ বছর। শান্তর বাবা মোবারক হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর এর উল্টাডাব গ্রামের কৃষক। কৃষি কাজের পাশাপাশি মোবারক হোসেন এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা চালক। মাত্র দুই বিঘা জমি সম্বল রয়েছে মোবারক হোসেনের। জমি আর অটোরিকশা এই দুটিকে পুঁজি করেই মোবারক হোসেন তার একমাত্র ছেলে সজিব হাসান শান্ত কে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। তবে বাবাকে কৃষি কাজে সাহায্য করতেন। কৃষি কাজ করেই মাইল পাড়ি দিয়ে চলে যেতেন স্কুলে। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে সাত মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ভ্যানে করে গ্রামের বাড়িতে চলে আসতেন শান্ত। এত কঠিন পরিশ্রমের পরেও শান্ত দমে যাননি। পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন। এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। এরপর ঢাকায় ভর্তি হন রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে। সেখানেও গোল্ডেন এ প্লাস পান উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়। এরপর গুচ্ছ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সুযোগ পেয়ে যান রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। শান্ত ঠিক করেছেন রাজ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন। তার ইচ্ছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করা। শান্ত জানান, প্রতি 14 কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আসা-যাওয়া করতে তার এতটুকুও কষ্ট হতো না, যখন তিনি বই হাতে নিতেন। বই হাতে নিলেই সব কষ্ট যেন তার দূর হয়ে যেত। এভাবেই হাজার কষ্ট অতিক্রম করে শান্ত প্রকৌশলী হওয়ার পথে। এত সাফল্যের পরও শান্ত নিজেকে একজন কৃষকের ছেলে হিসেবে পরিচয় দিতেই আগ্রহী। এজন্য তার সংকোচ লজ্জা কিছুই নেই। লোকের ছেলে হিসেবে নিজের পরিচয় দিতেই গর্ববোধ করেন শান্ত।

Share this news on: