কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ফুলছড়ি রেঞ্জের রাজঘাট ও ভোমরিয়া ঘোনা রেঞ্জের পূর্ণগ্রাম বিটের অধীনে পর পর দুইটি হাতির মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নেমেছে বন বিভাগ।
উপ প্রধান বন সংরক্ষকের নেতৃত্বে বন্যপ্রাণী সংরক্ষক কর্মকর্তাসহ ৩ জনের একটি প্রতিনিধি দল ঈদগাঁওতে এসেছেন। তাদের সাথে রয়েছে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাও৷
তদন্ত কমিটির প্রধান বাংলাদেশ বন বিভাগের উপ-প্রধান বন সংরক্ষক ড. জগলুল হুদা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিমের নেতৃত্বে তদন্ত টিমটি পৃথক ভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তাদের সাথে উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার এবং এসিএফ ও বিভিন্ন রেঞ্জের রেঞ্জ ও বিট কর্মকর্তারা সাথে ছিলেন।
তারা শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ফুলছড়ি রেঞ্জের রাজঘাট বিটের অধীনে পূর্ব গজালিয়া চিলিব্বা নামক স্থানে পৌঁছেন।
সেখানে এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হাতির মৃত্যুর ঘটনার বিবরণ শোনেন। পরে ভোমরিয়া ঘোনা রেঞ্জের পূর্ণগ্রাম বিটের অধীনে পূর্ণগ্রামে যায়। সেখানেও হাতি মৃত্যুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা৷
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলছড়ি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বাবুল।
উল্লেখ্য, গত ২১ নভেম্বর ফুলছড়ি রেঞ্জের রাজঘাটা বিটের অধীনে পূর্ব গজালিয়া সিলিব্বা নামক স্থানে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে বাচ্চা হাতির মৃত্যু হয়। এর তিন সপ্তাহ আগে পূর্ণগ্রাম বিটের অধীনেও আরো একটি বণ্য হাতির মৃত্যু হয়। কক্সবাজারে আশঙ্কাজনক হারে বণ্য হাতির মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাবিয়ে তুলেছে সংশ্লিষ্টদের।