যুক্তরাষ্ট্রে বহুতল ভবনে আগুন, ৮ শিশুসহ ১৩ জনের প্রাণহানি

যুক্তরাষ্ট্রে একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সাতজনই শিশু। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় বুধবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ফিলাডেলফিয়া শহরে চারতলা ভবনটিতে আগুন লাগে।

ফিলাডেলফিয়ার দমকল বিভাগের ডেপুটি কমিশনার ক্রেইগ মারফি বলেন, ঘটনাস্থলে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। সে কারণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দমকল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতায় তারা এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড আর দেখেননি। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ফিলাডেলফিয়া অগ্নিনির্বাপণ দফতরের এক কর্মকর্তা আগুনে পুড়ে ৮ শিশুর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ফিলাডেলফিয়া শহরের ওই তিন তলা ভবনের আগুনে পুড়ে নিহতের সংখ্যা ১৩ জন এবং তাদের মধ্যে ৭ জন শিশু।

বিবিসি বলছে, স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফিলাডেলফিয়া শহরের উত্তরে অবস্থিত ওই ভবনে আগুন লাগে। এ সময় ভবনটিতে মোট ২৬ জন অবস্থান করছিলেন। তবে আগুন লাগার পর ৮ জন নিরাপদে বাইরে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন।


 
এ ছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর আহত দুজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ক্রেইগ মারফি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এটি তার দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডগুলোর একটি।

তিনি বলেন, আগুন লাগার কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু না বললেও যেহেতু এখানে প্রাণহানি হয়েছে, তাই আমরা এর তদন্ত করবো। এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলাডেলফিয়ার মেয়র জিম কেনি জানিয়েছেন, এটি শহরের ইতিহাসে সবচেয়ে বিপর্যয়কর দিনগুলোর একটি। এইভাবে এতো মানুষের মৃত্যু সত্যিই অনেক কষ্টের। একসঙ্গে এতোগুলো শিশুর মৃত্যুও বেদনার। 

দমকল বাহিনী জানিয়েছে, তারা স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সে সময় তারা দেখতে পান চারতলা ভবনটি তৃতীয় তলায় আগুন জ্বলছে। প্রায় ৫০ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হন তারা।

ওই ভবনটিতে ২৬ জন বাস করতেন। এর মধ্যে ৮ জন দ্বিতীয় তলায় এবং ১৮ জন তৃতীয় এবং চতুর্থ তলায় ছিলেন। তবে আগুন লাগার সময় সেখানে কতজন ছিলেন সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের নতুন বার্তা Dec 26, 2025
img
ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল কোথায়? Dec 26, 2025
img
বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষে ভোট করবেন রাশেদ খান: নুর Dec 26, 2025
img
জনপ্রিয় ফিলিস্তিনি অভিনেতা মোহাম্মদ বকরী আর নেই Dec 26, 2025
img
মেঘনায় মিলল ২৩ কেজি ওজনের কোরাল Dec 26, 2025
img
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বড় নেতারা কেন বাস ব্যবহার করেন? Dec 26, 2025
img
জাতীয় স্মৃতিসৌধে তারেক রহমানের শ্রদ্ধা নিবেদন Dec 26, 2025
img
চারে ব্যাটিং প্রসঙ্গে ওপেনার ইমনের মন্তব্য Dec 26, 2025
img
মায়ানমারের সাধারণ নির্বাচন ঘিরে সমালোচনার ঝড় Dec 26, 2025
img
ঘন কুয়াশার কারণে আরিচা-কাজীরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ Dec 26, 2025
img
৫ লাখ সন্ন্যাসী নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাওয়ের হুমকি বিজেপি নেতার Dec 26, 2025
img
বান্দরবানে ভূমিকম্প অনুভূত Dec 26, 2025
img
মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ মশারি ও নৌকার প্রপেলার জব্দ, আটক ৫ Dec 26, 2025
img
সম্রাট বাহিনীর প্রধানের প্রাণহানির ঘটনায় মামলা Dec 26, 2025
img
পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন : ডানপন্থি দল চেগার জোরালো প্রচারণা Dec 26, 2025
img
জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছেছেন তারেক রহমান Dec 26, 2025
বিদেশে গিয়েও দেশের প্রতি টান কেয়া পায়েলের Dec 26, 2025
দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব Dec 26, 2025
আমাদের জন্য জরুরী একটি বিধান | ইসলামিক জ্ঞা Dec 26, 2025
ইসরায়েলে ভয়াবহ সাইবার হামলা চালাল ইরান Dec 26, 2025