আমাদের প্রকৃতিতেই এমন কিছু উপাদান আছে যা খেলে রোগ নিরাময় হয়। এমন একটি উপাদান হচ্ছে সাজিনা। আমাদের হাতের কাছে পাওয়া সাজিনা ও এর পাতার বহু ধরণের গুণাগুণ রয়েছে, যার সবগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
সজনে পাতার উপকারিতা :-
১. সজনে পাতায় উপস্থিত ক্যালসিয়াম,পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এর পরিমাণ দুধ এর চেয়েও বেশি। এই পাতা শাক হিসেবে খেলে শরীরের ব্যথা ও ক্লান্তি দূর হয়।
২. উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সজনে পাতা বিশেষভাবে উপকারী। চিকিৎসকদের মতে সজনের পাকা হলুদ পাতার টাটকা রস খাবারের আগে দুবেলা করে দুই থেকে তিন চা -চামচ খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
৩. দাঁতের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। অনেকেরই দাঁতের মাড়ির সমস্যা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া যার জন্য দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া এই ধরনের অনেক সমস্যা দেখা দেয়। দাঁতের এই ধরনের সমস্যার সমাধানও রয়েছে সজনের পাতাতেই। সজনে পাতা ১ মগ জলে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে সেই জল যদি প্রতিদিন ভালো করে কুলিকুচি করা যায় তবে দাঁতের মাড়ি থেকে হওয়া যে কোন রকম সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
৪. শরীরের জ্বর ও বিভিন্ন ধরনের অসুখ দেখা দিলে অনেকেরই মুখের রুচি চলে যায়। যার ফলে কোন কিছুই খেতে আর ভালো লাগে না। মুখে রুচি বাড়াতে সজনে পাতা ভেজে বা ভর্তা করে খেলে মুখে রুচি ফিরে আসে এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়।
৫. আজকালকার দিনে শ্বাসকষ্ট একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, অনেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন। এই রোগের ক্ষেত্রে সজনে পাতা বেশ উপকারি। সজনে পাতাকে ভালো করে সিদ্ধ করার পর যে ঘন রস তৈরি হয়, সেই রসে আঁদা গুড়ো ও হিং মিশিয়ে সেবন করলে শ্বাসকষ্ট, হেঁচকি ওঠা ও পেটের গ্যাস দূর হয়।
এছাড়াও সজনে পাতার তেল এবং গুঁড়ো উভয়ই ত্বকের চুলকানি এবং ত্বকের ফ্রি র্যাডিক্যাল ধ্বংস করে। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি ব্যবহারে ত্বকের বলিরেখা কমে। সেইসঙ্গে ত্বকের কালচে দাগ-ছোপও দূর হয়।
অনেকের ঠোঁটই কালচে হয়ে যায় বিভিন্ন কারণে। জানেন কি? মরিঙ্গা অয়েল ও পাউডার ঠোঁটকে আর্দ্র রাখে। এতে ঠোঁটের কোমলতা বজায় থাকে এবং কালচে দাগ দূর করে।