চীনে ধীরে ধীরে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আগামী জুন থেকেই তুলে নেওয়া হবে করোনার বিধিনিষেধ। এদিকে উত্তর কোরিয়ায় দিন দিন বাড়ছে সংক্রমণের হার। এ অবস্থায় সরকারের দেওয়া নানা বিধিনিষেধ কতটা মেনে চলা হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণ করছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এমন তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এ সময় উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন ঘুরে দেখে বিভিন্ন ফার্মেসি। পিয়ংইয়ং এ ফার্মেসি পরিদর্শনের ছবি প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। দেশটিতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারি ওষুধ সরবরাহের নির্দেশ কতটা মানা হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণের জন্যই ফার্মেসি পরিদর্শন। উত্তর কোরিয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও শনাক্তের হার। লকডাউনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না পরিস্থিতি। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছে সাড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষ।
এ অবস্থায় উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন দেশটির ফার্মেসিগুলোয় সরকারি ওষুধ সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সে নির্দেশ ঠিকমতো পালন না করায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। স্বাস্থ্য বিভাগ ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে না বলে সমালোচনা করেন কিম। বহুদিন ধরেই উত্তর কোরিয়ায় ওষুধ সংকট চলছে। করোনা সংক্রমণের কারণে ওষুধ সরবরাহ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। একসঙ্গে ফার্মেসিগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে চীনের সাংহাইয়ের চিত্র ভিন্ন। ট্রেন জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। দেড় মাসেরও বেশি সময় পর চীনের সাংহাইয়ে চলবে মেট্রোরেল। আর তাই মেট্রোরেল স্টেশনে চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। একই সঙ্গে এত দিন পর চালু করার জন্য রেললাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন আছে কিনা এবং রেলের যন্ত্রপাতিগুলোও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে লকডাউনে থাকার পর স্বাভাবিক হতে চলেছে চীনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক শহর সাংহাই। আগামী পহেলা জুন থেকে ধাপে ধাপে শিথিল হবে বিধিনিষেধ। সোমবার থেকে প্রাইভেটকার এবং ট্যাক্সি চলাচল শুরু করেছে। ২২ মে থেকে কিছু গণপরিবহনও চলাচল শুরু করবে। সংক্রমণের হার কমার ওপর নির্ভর করবে কত দ্রুত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে। পুরো জুন মাসজুড়েই পর্যায়ক্রমে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে।