নার্গিসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ

বিয়ে বানিজ্য, মহরনা আদায় ও মামলা-হামলার নার্গিস আক্তার নামের এক নারীর উপর অভিযোগের ভিত্তিতে আশুলিয়া থানাধীন কবিরপুরের বাসিন্ধারা সড়কে মানববন্ধন করে গত ১৬ই অক্টোবর।

সাভার টু আশুলিয়া সড়কপথের এই মানবন্ধনের দৃশ্যটি গত রোববারের। তপ্ত রোদে দাড়িয়ে যারা মানববন্ধন করছিলেন, তাদের একটি বড় অংশই নারী। নারী হয়ে নারীর অন্যায়-অপকর্মের বিরুদ্ধে এভাবে মানবন্ধনের ঘটনা বিরল। 


যার অপকর্ম নিয়ে কথা বলছিলেন, তার নাম নারগিস আক্তার। ব্যানার কিংবা ফেস্টুনেও তার ছবি। এই নারগির্সের অন্যায় অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সেই প্রমানও পাওয়া গেল। 


স্বামী-স্ত্রীর সম্মিলিত চেষ্টায় স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে এস এম ফর্নিচার নামে একটি দোকান গড়ে তোলেন। মানসম্মত ফার্নিচারের জন্য গ্রাহকরাও সন্তুষ্ট। অল্প সময়ে সাধারন মানুষের কাছে আস্থাভাজন হয়ে উঠে।

বাদশা মিয়া ব্যবসায়ি হিসাবে গ্রাহকের চাহিদা পুরনে চুক্তি গ্রহন করেন। কিন্তু কাজ শেষে মাল বুঝে নিতেই নারগিসের আসল রুপ বুঝতে পারেন। 

মাল বুঝে নিয়ে এভাবে টাকা না দেয়ার মানে হচ্ছে জিম্মি করা। তার উপর রাজনৈতিক দল এবং প্রশাসনের হুমকি দিয়ে হয়রানি করাও অব্যাহত রাখেন। ফলে ভয়ে পাওনা তো দুরের কথা, উল্টো সব কিছু চেপে যান।

তিন বছর আগের সেই পাওনা এখনও পাননি ফার্নিচার ব্যবসায়ি বাদশা মিয়া। এতদিন পর তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে এক হয়ে নারগিসের অপকর্শ তুলে ধরতে মানববন্ধনে হাজির হয়েছেন।

একজন নারী কতটা বেপরোয়া আর অন্যায়কারি হলে তার বিরুদ্ধে রাস্তায় মানুষ নামতে পারে, তা বোঝা গেল আরেক ব্যবসায়ি লোকমান হোসেনের কথায়। 

নার্গিসের একই গ্রামের বাসিন্দা। পরিচয় থেকে পরিনয়। কিন্তু সেই পরিনয় আর টিকেনি। দীর্ঘ ১৮ বছর আগে বিচ্ছেদ হলেও নার্গিসের হাত থেকে রেহাই পাননি।

আইন-আদালতের মাধ্যমে বিচ্ছেদ কার্যকর হলেও সেটিকে গোপন রেখে আদালতে যৌতুক মামলা করেন নারগিস। বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে নারগিসের মামলা খারিজ করে দেয়। কিন্তু তারপরও রেহাই মিলেনি লোকমান হোসেনের। 

নারগিসের এমন অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পাননি আপন চাচা শামসুল আলমও। যিনি বয়সের ভারে নড়তেও পারেননা।  

জমি দখলে এই বয়সী আপন চাচার গায়ে হাত তুলেই ক্ষান্ত হননি। মামলা এবং পুলিশী হয়রানির মাধ্যমে বাড়ি ছাড়া করেছেন। আর এই সুযোগে জমি দখলে নিয়েছেন নারগিস।

কার ক্ষমতায় আর কার শক্তিতে নারগিস এতটা বেপরোয়া, তা এলাকার সাধারন মানুষের কাছে অজানা। তবে কথায় কথায় আওয়ামীলীগ নেতা এবং প্রশাসন নারগিসের হাতের ইশারায় চলে এমনটা বলে বেড়ান।

রাজনৈতিক নেতাদের পরিচয় ব্যবহার করে নিরীহ মানুষকে হয়রানি, জমি দখল, ভয়ভীতি দেখানো বাস্তবে যেমন সত্য-তেমনি মন্ত্রী, মিনিষ্টারের সাথে ছবি ব্যবহার করে সেটিকে অন্যায় কাজে ব্যবহার করার তথ্যও সত্য। 

তার এই অপকর্মে আশুলিয়া থানার দুজন পুলিশ সদস্যও সহযোগি হয়েছেন। যারা পেছন থেকে নারগিসের অপকর্মের সহযোগি-ই না ব্ল্যাক মেইলংও করছেন এমন অভিযোগও রয়েছে। 

নারগিস আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তার আপন চাচা শামসুল আলমও। এ বিষয়ে কবিপুরের বেদগাও গ্রামের নানা শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কথা হয় টাইমসা ইনভেস্টিগেশন টিমের। আর এ সকল কিছু নিয়ে ২ পর্বের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের আজ ১ম পর্ব প্রকাশিত হল নিচের ভিডিও লিংকে-

Share this news on: