বিয়ে বা কোনো শুভ অনুষ্ঠান হলেই নারীমহলে মেহেদি পরারিউৎসব লেগে যায়। তাতে শামিল হয় বাড়ির শিশুরাও। রীতিমতো দক্ষ লোক ডেকে সবাই মিলে বসে মেহেদি পরেন। হাত-পা থেকে শুরু করে শরীরের নানা অঙ্গে করান পছন্দের নকশা।
কিন্তু জানেন কি, আপনার শখের এই মেহেদিই হতে পারে গুরুতর রোগের কারণ? ক্ষতি করতে পারে আপনার শিশুরও। হ্যা, এমনটাই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি মেহেন্দি নিয়ে একটি পরীক্ষামূলক গবেষণা হয়। সেখানেই এমন তথ্যের হদিশ পান বিশেষজ্ঞরা।
জানুয়ারিতে ক্লিনিক্যাল নিউরো ফিজিওলজিতে প্রকাশিত হয় গবেষণাপত্রটি। তাতেই বলা হয়, মেহেদি পরার ফলে কারও কারও খিঁচুনির রোগ দেখা দিতে পারে। তবে কোনো জিনিস থেকে খিঁচুনির সমস্যা দেখা দিচ্ছে- এমন ঘটনা সাধারণত দেখা যায় না।
সম্প্রতি একটি ৯ বছরের মেয়ে মেহেদি পরার পরেই খিঁচুনিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। ২০১৯ সালেও এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। হাতেকলমে ঠিক কী ঘটছে তা পরীক্ষা করতে মেয়েটিকে আবার মেহেন্দি পরানো হয়। গবেষকদের সামনেই হাতটি নাকের কাছে নিতেই খিঁচুনির লক্ষণ দেখা দেয় মেয়েটির।
সেই থেকে মনে করা হচ্ছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর বিশেষ প্রভাব রয়েছে মেহেদির। সবার না হলেও কারও কারও অ্যালার্জি রয়েছে এতে। মেহেদির গন্ধ নাকে যেতেই স্নায়ুতন্ত্রে কুপ্রভাব পড়ছে। তাতেই খিঁচুনির লক্ষণ দেখা দিচ্ছে বলে জানান বিশেশজ্ঞরা।
নির্দিষ্ট পরীক্ষাটিতে দেখা যায়, গন্ধ নাকে যেতেই প্রায় ২০ সেকেন্ডের জন্য অজ্ঞান হয়ে পড়ে মেয়েটি। তবে যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তাদের মধ্যে হাঁচি, কাশি, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া মেহেদিতে যে উপাদান থাকে, তা শিশুদের ত্বকেরও ক্ষতি করে।
