ইতিহাস গড়তে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল মাত্র ১১৮ রান। তবে পাওয়াড়ট প্লেতে দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল টাইগাররা। তবে আগের ম্যাচে জয়ের নায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অনবদ্য ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় সাকিব আল হাসানের দল।
এতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ে প্রথম কোনো সিরিজ জিতল লাল সবুজের বাংলাদেশ।
লো-স্কোরিং ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ৩২ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও লিটন দাস উভয়ই করেন ৯ রান। পরের উইকেটে দলের হাল ধরেন শান্ত-হৃদয়। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি হৃদয়। রেহান আহমেদের করা বলে ১৭ রানে ফেরেন তিনি।
এরপর মিরাজকে পাঠানো হয় ক্রিজে। আস্থার প্রতিদান দেন এই অলরাউন্ডার। নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের ভিত এনে দেন তিনি। এরপর খেলতে নেমে সাকিব শূন্য রানে ও আফিফ ২ রানে আউট হন। এদিকে শেষ পর্যন্ত খেলে যান শান্ত। তাসকিনকে নিয়ে জয়ও তুলে নেয় টাইগাররা। ৪৬ রানে শান্ত ও ৮ রানে তাসকিন অপরাজিত থাকেন। ১৮.৫ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ১২০ রান।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান টাইগার দলনেতা সাকিব আল হাসান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় সফররত ইংল্যান্ড। তাসকিন আহমেদের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ৬ রানে আউট হন ওপেনার ডেভিড মালান।
আরেক ওপেনার ফিল সল্টের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। সুবিধা করতে পারেননি দলনেতা জস বাটলারও। ব্যক্তিগত ৫ রানে হাসান মাহমুদের করা বলে বোল্ড হন ইংলিশ দলনেতা জস বাটলার। মেহেদি মিরাজের করা পরের ওভারের শেষ বলে শামীম পাটোয়ারির হাতে ক্যাচ তুলে দেন মঈন আলি। তিনি করেন ১৫ রান।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে চাপ সামলে নেওয়ার প্রয়াস চালান বেন ডাকেট ও সাম কুরান। কিন্তু কিছুক্ষণ ক্রিজে অবস্থান করলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না কেউই। অতপর মিরাজের করা ইনিংসের ১৫তম ওভারে ব্যক্তিগত ১২ রানে ফেরেন কুরান। একই ওভারে শূন্যরানেই আউট হন ক্রিস ওকস। ডাকেট ২৮, রেহান ১১ রান ও আর্চার শূন্যরানে আউট হন। ১ রানে আদিল রশিদ অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের পক্ষে মাত্র ১২ রানের খরচায় সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন টাইগার স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন চারজন বোলার।