রাঙামাটিতে আ. লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

রাঙামাটির সাজেকে ব্রাশফায়ারে নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহতের ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এবার বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নে আলীখ্যং এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা ফারুয়া ইউনিয়ন থেকে কয়েকজনের সঙ্গে ট্রলারে করে বিলাইছড়ি সদরে ফিরছিলেন। রাইংখ্যং নদী ধরে আলীখ্যং এলাকায় পৌঁছালে ট্রলারটির গতিরোধ করে ছয়জন অস্ত্রধারী। দুর্বৃত্তরা এরপর ট্রলার থেকে তুলে নিয়ে সুরেশ কান্তিকে গুলি করে। আহত সুরেশ কান্তির সঙ্গে থাকা কয়েক ব্যক্তি তাকে বিলাইছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিলাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ ইকবাল জানান, সুরেশ কান্তির লাশ উপজেলা সদরে নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাঙামাটি নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হাজী মো. মুসা মাতব্বর এ হত্যাকাণ্ডের জন্য জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস)দায়ী করেছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে জনসংহতি সমিতির জেলা সম্পাদক নীলোৎপল খীসা বলেন, ‘আমরা এ ধরনের রাজনীতি করি না। এসব ঘটনার সঙ্গে আমাদের জড়ানোর চেষ্টা আসলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ  করার হীন প্রচেষ্টা।’

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সোমবার বিলাইছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়সেন তঞ্চঙ্গ্যাকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জনসংহতি সমিতি সমর্থিত প্রার্থী বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা।

সোমবার রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক এলাকায় নির্বাচন শেষে ফলাফল ও সরঞ্জাম নিয়ে ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে পোলিং কর্মকর্তা, দুই নারী আনসার সদস্যসহ ছয়জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ১৫ জন। তাদের মধ্যে গুলিতে আহত একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার গভীর রাতে মারা যান। গুলিবিদ্ধ বাকিদের অবস্থা গুরুতর। সাজেকে গুলির ঘটনার পরদিনই এ ঘটনা ঘটল।

 

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: