গাজীপুরে নৌকার জয়, ব্যক্তির পরাজয় হয়েছে : জাহাঙ্গীর আলম

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদা খাতুন। ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদা খাতুনের ছেলে ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গাজীপুরের নির্বাচনে নৌকার জয় হয়েছে, ব্যক্তির পরাজয় হয়েছে। নেত্রীর দোয়ায় আমরা জিতেছি।’

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিনগত রাতে ফল ঘোষণার কেন্দ্রের বাইরে সাংবাদিকদের কাছে এ প্রতিক্রিয়া জানান জাহাঙ্গীর আলম।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এখানকার নাগরিকেরা নিজেরা বাড়ি থেকে গিয়ে আমার মায়ের মার্কাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমি আগেই বলেছি, আমি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কখনও যাই নাই, যাব না। নৌকার বিরুদ্ধে যাই নাই, যাব না৷ নেত্রী আমার শ্রদ্ধার জায়গা। এখানে কেউ যেন আঘাত না করে।’

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার মা ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। ব্যক্তির বিরুদ্ধে জিতেছ। আমার মা বলেছেন, সবাইকে নিয়ে মা কাজ করতে চায়।’

সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক। উনি চারা গাছ হিসেবে আমাকে এখানে দিয়েছিলেন। নেত্রীর দোয়ায় আমরা জিতেছি। আমার মাকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই।’

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মিডিয়ার ভাইদের প্রতি অনুরোধ কেউ আর আমাকে, আমার পরিবারকে নিয়ে আজেবাজে লিখেন না। আমার মা নতুন শহর করে দেবে। আমি মায়ের সঙ্গে থেকে সবাইকে নিয়ে পরিকল্পিত নগর করতে চাই।’

জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘বড় ভাই আজমত উল্লা খানসহ যারা নির্বাচন করেছে তাদের সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চায় আমার মা।’

গতকালের গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রেকর্ড গড়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। জায়েদা খাতুনের বিজয়ের মধ্য দিয়ে গাজীপুরবাসী একজন নগরমাতা পেলো।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সামলেছিল ছাত্রশিবির মেডিকেল জোন : ডাকসু ভিপি Nov 14, 2025
img
আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণে সরকারের ২৮ কোটি টাকার অনুমোদন Nov 14, 2025
img
আগামীর গণভোট কেমন হবে, জুলাইয়ের বিজয়ীরা নির্ধারণ করবে: অ্যাটর্নি জেনারেল Nov 14, 2025
img

আমীর খসরু

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি Nov 14, 2025
img
নাশকতার অভিযোগে কুড়িগ্রাম পুলিশের হাতে আকট ৫১ Nov 14, 2025
img
পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের আশ্বাসে খেলতে রাজি হলো শ্রীলঙ্কা Nov 14, 2025
img
আপনারা সংখ্যালঘু না, কেউ আপনাদের সম্পত্তি দখল করতে পারবে না : মান্নান Nov 14, 2025
img
বিএনপি ও জামায়াতের কথামতো হয়েছে সনদ: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী Nov 14, 2025
img
বারবার ধোকা দিয়ে দেশকে সুন্দর করা যাবে না : রেজাউল করীম Nov 14, 2025
img
বাংলাদেশে সিরিজ জিতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাকিস্তান Nov 14, 2025
img
শেখ মুজিব স্বাধীনতা চায়নি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন: জয়নুল আবদিন Nov 14, 2025
img
যুবদল নেতার হামলায় আহত ৩ পুলিশ Nov 14, 2025
img
শাকসু নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা Nov 14, 2025
img
রাজধানীতে আ. লীগের ককটেল ফ্যাক্টরির সন্ধান, অভিযান পুলিশের Nov 14, 2025
img
জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্বে ‘জবরদস্তিমূলক হস্তক্ষেপ’ নয়: সালাহউদ্দিন আহমদ Nov 14, 2025
img
১০০তম টেস্টের পরও খেলা চালিয়ে যাবেন মুশফিক, আশা করেন শান্ত Nov 14, 2025
img
দীঘির উদ্দেশ্যে চিঠি লিখলেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী Nov 14, 2025
img
মিস ইন্টারন্যাশনালে বাংলাদেশের জেসিয়া ইসলাম Nov 14, 2025
img
ছেলে হত্যার ঘটনায় মামলা করলেন বিচারক Nov 14, 2025
img
বাংলাদেশকে ৮-০ গোলে হারল পাকিস্তান Nov 14, 2025