আগস্টে রেকর্ড মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী মুরগি ও ডিম : পরিকল্পনামন্ত্রী

আগস্টে খাদ্য খাতে রেকর্ড ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। মুরগি ও ডিমের কারণেই এই রেকর্ড মূল্যস্ফীতি হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি বেড়েছে এটাকে এড্রেস করার চেষ্টা করব। শিগগিরই এটা কমানোর চেষ্টা করব। আগস্টে মূল্যস্ফীতির নায়ক মুরগি ও ডিম।’

এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের যে বৃদ্ধি এটা টেকসই মানের। সহনীয় মাত্রায় বাড়ছে। শ্রীলঙ্কা এক লাফে উঠেছিল এখন নামছে। আমাদের বৃদ্ধি হয়েছে সহনীয় এবং কমবেও সহনীয়।’

গত মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২.৫৪ শতাংশ। যা বিগত বছরে কখনও হয়নি। এর আগের মাসে এই খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২.৭৮ শতাংশ।

গত ১১ বছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি। ২০২০-২১ অর্থবছরেও খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল মাত্র ৫.৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে এই খাতে বৃদ্ধি হয়েছে দ্বিগুণের বেশি।

গত রোববার প্রকাশিত বিবিএসের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, আগস্ট মাসে খাদ্যপণ্য বৃদ্ধির রেকর্ড গড়েছে। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস। ২০২০ সালে খাদ্যখাতে ১০০ টাকার পণ্যে ৫ টাকা ৫৬ পয়সা বৃদ্ধি হয়েছিল, একই পণ্যে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে বেড়েছে ১২ টাকা ৫৪ পয়সা।
তবে বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম কিছুটা কমেছে বলে দাবি করেছে বিবিএস।

আগস্টে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২.৫৪ শতাংশ। আগের মাস, অর্থাৎ জুলাইয়ে এ হার ছিল ৯.৭৬ শতাংশ। এর মধ্যে গ্রাম এলাকায় আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২.৭১ শতাংশ। আর শহর এলাকায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২.১১ শতাংশে। উভয় ক্ষেত্রে খাদ্য মূল্যস্ফীতি জুলাইয়ে ১০ শতাংশের নিচে ছিল।

অন্যদিকে সার্বিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি জুলাইয়ের ৯.৪৭ শতাংশ থেকে কমে আগস্টে ৭.৯৫ শতাংশ হয়েছে। এর মধ্যে আগস্টে গ্রাম এলাকায় খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৭.৩৮ শতাংশ ও শহর এলাকায় এটি ৮.৪৮ শতাংশ।

Share this news on:

সর্বশেষ

১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Dec 11, 2025
প্রেস সেক্রেটারির মুখ আর ঠোঁটের প্রশংসায় মগ্ন ট্রাম্প Dec 11, 2025
img
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতির ওপর হামলা Dec 11, 2025
img
একক ভাবে শাকিব নির্ভরতা ‘সুসংবাদ নয়’ বললেন অপু বিশ্বাস Dec 11, 2025
img
দাসদের সন্তানের জন্য ছিল জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব, ধনীদের নয় : ডোনাল্ড ট্রাম্প Dec 11, 2025
img
তানিয়া রবের গাড়ি বহরে হামলা নব্য ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি : জেএসডি Dec 11, 2025
img
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫৬ অভিবাসী গ্রেপ্তার Dec 11, 2025
img
এআই যতই ভালো করুক, আসল অনুভূতি মানুষেরই : লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও Dec 11, 2025
img
মোদী-রাহুলের মাঝে দীর্ঘ বৈঠকে গোপন আলোচনার ইঙ্গিত Dec 11, 2025
img
আজ ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস Dec 11, 2025
img
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ জনের Dec 11, 2025
img
আগামী নির্বাচন জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের পথ খুলে দেবে: গয়েশ্বর Dec 11, 2025
img
ন্যায্য আসন না পেলে বিএনপি ছাড়ার বার্তা ২৯ মিত্রদের, ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম Dec 11, 2025
img
বিশ্ববাজারে কমল স্বর্ণের দাম, রুপার দামে রেকর্ড Dec 11, 2025
img
তৃতীয়বারের মতো বিশ্বজয় করলেন হাফেজ আনাস বিন আতিক Dec 11, 2025
img
শিক্ষকতার পাশাপাশি আইনজীবী-সাংবাদিকসহ দ্বৈত পেশায় যুক্তদের খোঁজে জেলা শিক্ষা অফিস Dec 11, 2025
img
তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আগাম প্রচার সামগ্রী সরানোর নির্দেশ ইসির Dec 11, 2025
img
আসিফ ও মাহফুজ এনসিপিতে যুক্ত হতে চাইলে সাদরে গ্রহণ করবো : আখতার Dec 11, 2025
img
বেগম খালেদা জিয়া বেঁচে থাকা মানে গণতন্ত্রের ভীত শক্তিশালী থাকা: এ্যানি Dec 11, 2025
img
১৪৫ ভরি স্বর্ণ লুটের ঘটনায় পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকসহ আটক ৫ Dec 11, 2025