আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস আজ

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস আজ। জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোয় গণতন্ত্র সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি এবং গণতন্ত্র চর্চাকে উৎসাহিত করার প্রয়াসে দিবসটি পালিত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অবস্থা সুখকর নয়। যুক্তরাজ্যের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) প্রকাশিত সর্বশেষ গণতন্ত্র সূচকে ১৬৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৩তম।

২০০৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এ দিবসের ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। এরপর থেকেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ সেস্টেম্বর) বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বিশ্বে সাধারণ নাগরিকদের অধিকার চর্চার সুযোগ সংকুচিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র, আইন, শাসন ব্যবস্থা ও মানবাধিকারের ওপর ভিত্তি গড়ে ওঠে সমৃদ্ধ, সহনশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা। তেমন সমাজই স্বাধীনতার কাণ্ডারি। এমন সমাজ টেকসই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা এবং মানুষের মর্যাদা ও অধিকার সুরক্ষায় সচেষ্ট।’

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে আজ বিএনপিসহ সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও জোট সমাবেশ করবে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পৃথকভাবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

দিবসটি উপলক্ষে বাণীতে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, সারা বিশ্বে বহু মত, পথের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আগ্রহকে ভূলুণ্ঠিত করে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে এখনও একদলীয় দুঃশাসনের কালো ছায়া বিরাজমান। বর্তমানে বাংলাদেশে নাগরিক স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, মানবিক মর্যাদা ও মানবিক সাম্য হরণ করা হয়েছে। ভিন্নমতের কারণে অনেকেই গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বছরের পর বছর কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এখনও তিনি পুরোপুরি মুক্ত নন।

তিনি বলেন, বর্তমানে এক ভয়াবহ দুর্দিন অতিক্রম করছে পুরো জাতি। বর্তমান দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে গণতন্ত্রের মুক্তির মাধ্যমে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিএনপির মিছিলে ঢুকে জয় বাংলা স্লোগান, প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল সভাপতির বাড়ি ভাঙচুর Dec 13, 2025
img
মেসিকে কলকাতায় আনা উদ্যোক্তা গ্রেপ্তার, দর্শকদের টাকা ফেরতের চিন্তা! Dec 13, 2025
img
ছাত্রদলের ৯ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ Dec 13, 2025
img
‘ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী বারবার অবস্থান বদলাচ্ছে’ Dec 13, 2025
img
রুনা ম্যামকে যখনই দেখি ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে যায় : নাবিলা Dec 13, 2025
img
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা বিজিবির Dec 13, 2025
img
স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি রাজাকারের আস্ফালন দেখার জন্য নয়: মেঘমল্লার বসু Dec 13, 2025
img
জুবিন নটিয়ালের কনসার্টে বিশৃঙ্খলা, আহত সাংবাদিকসহ একাধিক Dec 13, 2025
img
ওসমান হাদিকে গুলি: অভিযুক্তদের ধরতে সীমান্তে কড়া নজরদারি-তল্লাশি বিজিবির Dec 13, 2025
img
ভুয়া ফটোকার্ড প্রচারকারীদের আইনের আওতায় আনার ঘোষণা ডিএমপির Dec 13, 2025
img
এবার রাজশাহীতে এনসিপি নেতার ওপর হামলা Dec 13, 2025
img

অ্যাটর্নি জেনারেল

‘ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীর শিকড় উপড়ে ফেলা হবে’ Dec 13, 2025
img
হাদির ওপর হামলা মানে জুলাইয়ের ওপর হামলা : পুতুল Dec 13, 2025
img
৫ ফুট উচ্চতার সুড়ঙ্গ দিয়ে বেলারুশ থেকে পোল্যান্ডে ১৮০ অভিবাসী Dec 13, 2025
img
যেকোনো মূল্যে দেশে নির্বাচন হতে হবে: তারেক রহমান Dec 13, 2025
img
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একদিনে হাসপাতালে ভর্তি ৫৭২ Dec 13, 2025
img
বারবার অনুরোধ করতাম হাদি সাবধানে থাকো, বের হইয়ো না: সাদ্দাম Dec 13, 2025
img
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের আহ্বান জামায়াত আমিরের Dec 13, 2025
img
মাথায় গুলি লাগার পরও যেভাবে বেঁচে ফিরেছিলেন মালালা Dec 13, 2025
img
খুলনায় ১৫ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ Dec 13, 2025