ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন- কালচে দাগছোপ, জ্বালাভাব, র্যাশ বা চুলকানি, রুক্ষ-শুষ্ক ভাব, এইসব দূর করার জন্য শুধু বিভিন্ন প্রোডাক্ট মাখলেই হবে না। বরং ভালোভাবে খাওয়া-দাওয়া করাও প্রয়োজন। কোন কোন খাবার ত্বকের জন্য ভালো; এমন কয়েকটি খাবারের কথা জানিয়েছে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম।
আমন্ড : রোজ সকালে দুটো আমন্ড খাওয়ার অভ্যাস করতে পারে। আগের রাতে আমন্ড ভিজিয়ে রাখতে পারলে ভালো। আমন্ডের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই দুই উপকরণ ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
অ্যাভোকাডো : ডায়েটে যোগ করতে পারেন অ্যাভোকাডো। ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের একটি অংশ বায়োটিন। এই বায়োটিন ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। মূলত ত্বকের রুক্ষ এবং শুষ্ক ভাব দূর করে অ্যাভোকাডোর মধ্যে থাকা বায়োটিন।
ছোলা : ছোলা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। কম ক্যালোরি যুক্ত এই খাবার অনেকক্ষণ আপনার পেট ভরিয়ে রাখে। ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কাজে লাগে ছোলা। ছোলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে তাই এই খাবার সাহায্য করে। ছোলা দিয়ে সুস্বাদু অনেক পদ তৈরি করে নেয়া যায় খুবই কম সময়ে।
ফ্ল্যাক্স সিড : যারা কড়া ডায়েটে অভ্যস্ত তাদের মেনুতে ফ্ল্যাক্স সিড থাকেই। ওজন কমানোর পাশাপাশি এই বীজ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে। ফ্ল্যাক্স সিডের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং সেলেনিয়াম। এই দুই উপকরণ ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা অর্থাৎ জ্বালাভাব, র্যাশ, চুলকানি, লালচে ভাব দূর করে। সার্বিক ভাবেই ত্বকের খেয়াল রাখে এই ফ্ল্যাক্স সিড।
সবুজ রঙের পাতাজাতীয় শাকসবজি : বিভিন্ন পাতাজাতীয় শাকসবজি আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। এই তালিকায় পরিচিত দুই নাম পালংশাক এবং কালে। একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে এই দুই শাকপাতা জাতীয় খাবারে। সবুজ শাকপাতা জাতীয় এইসব খাবারে রয়েছে ভরপুর ওমেগা থ্রি অ্যাসিড। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই। এই সব উপকরণগুলি ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।