আগামী মার্চে একীভূত হতে পারে সংকটে থাকা দুর্বল ব্যাংকগুলো। ব্যাংকার্স মিটিং শেষে এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। আর ব্যাংক নির্বাহীরা বলেন, এই খাতে সুশাসন ফেরানোর সংস্কারের বিকল্প নেই।
ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ পাহাড়ের চূড়ায়। সুশাসনের অভাবও দীর্ঘদিনের। প্রতিনিয়তই দুর্বল হয়ে পড়ছে কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। তারল্য সংকটসহ ব্যাংকগুলোতে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট। এই পরিস্থিতিতে টাকা ছেপে কয়েককটি ব্যাংককে নিয়মিত তারল্য সহায়তা করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এমন পরিস্থিতিতে নতুন বছরের প্রথম ব্যাংর্কাস সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সভায় ব্যাংক খাতের সুশাসন ফেরাতে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। দাবি উঠেছে এই খাতের সংস্কার নিয়েও।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) সাবেক প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ব্যাংকিং খাতে সংস্কার খুবই জরুরি। সুশাসন ফেরাতেই তা দরকার। আমরা সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি। একটা সংস্কার আসছে। এটা সবাইকে মানতে হবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি ও সিইও সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, কোনও ক্ষেত্রে নতুন ঋণ দেয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। নতুন শাখা খোলা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনকি নতুন ডিপোজিট নেয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ওপর সীমা আরোপ করা হতে পারে।
পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, সংকটে থাকা দুর্বল ব্যাংকগুলোর নিয়ে উদ্যোগের কথা। আসন্ন মার্চ থেকেই হতে পারে একীভূত করার উদ্যোগ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। আমরা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার চিন্তা করছি। অবশ্য সেটা আইনি প্রক্রিয়ায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা বাস্তবায়ন করবে। বর্তমান নির্বাচিত সরকারের ইশতেহার ছিল, নির্বাচনের পর আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ শুরু করবো।
ডলারের মূল্যের স্থিতিশীলতা ফেরাতে মার্চ থেকে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু হবেও জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।