ইমরান খানকে কারাগারে রেখেই পাকিস্তানে ভোটগ্রহণ শুরু

পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। তবে নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খানের অনুপস্থিতি। একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তিনি কারাগারে বন্দী।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম বিবিসির পৃথক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

ইমরান খান কমপক্ষে ১৪ বছর কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) পায়নি।

বিবিসি জানায়, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, সহিংসতা এবং কারচুপির অভিযোগের মধ্যেই নতুন সরকার গঠন করতে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের কোটি কোটি নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রায় দুই বছর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাচ্যুত করার পর ইমরান খানকে দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হয় ও তাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধাও দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনের লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।

নির্বাচনে লড়াইয়ে এগিয়ে আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজলের (জেইউআই-এফ) নির্দিষ্ট ভোটব্যাংক রয়েছে। করাচিতে জামায়াতে ইসলামির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তবে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি থেকে প্রার্থী বাছাই করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ দলটির ক্রিকেট ব্যাট প্রতীক ব্যবহার করা নিষিদ্ধ হয়েছে।

নির্বাচনের ফলাফল দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটার তাদের ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন।

এদিকে নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে পাকিস্তানের কিছু এলাকায়। বুধবার পৃথক বোমা ও গ্রেনেড হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, পকিস্তানে এবারের নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশটির জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৪২টি। এর মধ্যে ২৭২ আসনে সরাসরি ভোট হয়। আর ৭০টি আসন সংরক্ষিত

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হাদি হত্যায় অভিযুক্ত আলমগীরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার Dec 24, 2025
img
৪৮ কোটি ২০ লাখ ডলারে বিক্রি হয়ে গেলো পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস Dec 24, 2025
img
বড়দিন ঘিরে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Dec 24, 2025
img
নির্বাচন ও গণভোটের প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক আলী রীয়াজ Dec 24, 2025
img
জেলখানায় থাকা ব্যক্তিদের ভোটদানে বিশেষ নির্দেশনা ইসির Dec 24, 2025
img
৪৬তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ Dec 24, 2025
img
বিপিএলে কবে যোগ দিবেন মুস্তাফিজ-তাসকিন? Dec 24, 2025
img
বিএনপি প্রার্থীর বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের সমর্থকরা, অভিযোগ জামায়াতের Dec 24, 2025
img
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতকে নীতিগতভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি: ড. ইফতেখারুজ্জামান Dec 24, 2025
img
গেমিং জগতের কিংবদন্তি কল অব ডিউটি’র স্রষ্টা ভিন্স জাম্পেলা আর নেই Dec 24, 2025
img
শুক্রবার সদস্য সম্মেলন করবে ছাত্রশিবির Dec 24, 2025
img
অভিনব দক্ষতায় সবাইকে ছাড়ালেন হকি খেলোয়াড় আমিরুল Dec 24, 2025
img
আইবুড়োভাতে প্রথমবার একসঙ্গে মধুমিতা ও দেবমাল্য Dec 24, 2025
img
বাংলাদেশ আর কখনো আধিপত্যবাদী শক্তির কাছে মাথা নত করবে না : মঞ্জু Dec 24, 2025
১১৬ কোটি টাকায় সৌদি আরবে বিলাসবহুল ভিলা কিনলেন রোনালদো Dec 24, 2025
img
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে ১০ প্রশ্নের জবাব দিলেন মাহাদী আমিন Dec 24, 2025
img
প্রবীণদের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর আহ্বান স্বাস্থ্য উপদেষ্টার Dec 24, 2025
img
এআইয়ের অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ শ্রীলীলা Dec 24, 2025
img
গাজীপুরে জাসাস নেতাকে কুপিয়ে হত্যা Dec 24, 2025
img
সমুদ্র সৈকতে নজরকাড়া অবতারে শাহতাজ Dec 24, 2025