দুই ওভারে সিলেট স্ট্রাইকার্সের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে এই রান তাড়া করা কঠিন কিছু নয়। এবারের বিপিএলে সিলেটের পারফরম্যান্স হতশ্রী। আগের আট ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জয়ের দেখা পায়। তবে, দিনের প্রথম ম্যাচে আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) খুলনা টাইগার্সকে হারিয়েছে সিলেট। রুবেল হোসেনের করা ইনিংসের ১৯তম ওভারে ২৪ রান তুলে নিয়ে আসরে নিজেদের তৃতীয় জয় পায় দলটি।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২০ ওভার শেষে চার উইকেটে ১৫৩ রান তোলে খুলনা। জবাবে ১৯ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে সিলেট। পায় পাঁচ উইকেটের জয়।
রান তাড়া করতে নেমে ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় সিলেট। ৯ বলে ১৩ রান করে আউট হন সামিত প্যাটেল। দ্বিতীয় উইকেটে হ্যারি টেক্টর ও নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে ৫২ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৬৫ রানে ১৬ বলে ১৮ রান করে মার্ক দেয়ালের বলে আউট হন শান্ত। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন করেন ১৯ বলে ২৪। তাকেও ফেরান দেয়াল।
তবে, শেষ দিকে দলকে টেনে তোলেন টেক্টর ও রায়ান বার্ল। ৫২ বলে ছয় চার ও তিন ছক্কায় ৬১ রান করেন টেক্টর। তাকে ফেরান সুমন খান। তিনি সাজঘরে ফিরলেও বার্লের ১৬ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংসে জয়ের সুবাস পায় সিলেট।
খুলনার পক্ষে চার ওভারে ১৯ রানে তিন উইকেট নেন দেয়াল। যদিও, দলের জয়ের জন্য তা যথেষ্ট হয়নি।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নামা খুলনার উদ্বোধনী জুটিটা জমেনি। দলীয় ১৯ রানে আউট হন ওপেনার এভিন লুইস। ১০ বলে ১২ রান করে সামিত প্যাটেলের বলে আরিফুল হকের ক্যাচে পরিণত হন লুইস। দ্বিতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনকে নিয়ে দলের একটা ভিত তৈরি করেন বিজয়। ১৬ বলে ২৪ রানের সম্ভাবনাময় ইনিংস খেলে বেনি হাওয়েলের বলে লেগ বিফোর হন আফিফ। এক রান করে দ্রুতই ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয়। তার উইকেট নেন সানজামুল ইসলাম।
৫৪ রানে তিনি উইকেট হারানো খুলনা ইনিংসে চতুর্থ ও শেষ উইকেটটি হারায় শেষ বলে। তার আগে হাবিবুর রহমান সোহানকে নিয়ে ৯৯ রানের জুটি গড়েন বিজয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে অধিনায়ক বিজয় করেন ৫৮ বলে ৬৭ রান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল পাঁচটি চার ও দুই ছক্কায়। শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৩০ বলে সমান তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৪৩ রান করেন সোহান।
সিলেটের পক্ষে একটি করে উইকেট পান প্যাটেল, হাওয়েল ও সানজামুল।