ত্রিশের পরেও ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখতে যা করবেন

ত্বকের যত্ন নিতে জানলে আপনার বয়স কিন্তু সহজে বাড়বে না। মানে হলো, বয়স বাড়বে ঠিকই কিন্তু তার ছাপ সহজে পড়বে না চেহারায়। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস, সেইসঙ্গে ত্বকের যত্ন- সব মিলিয়ে আপনার তারুণ্য ঝলমল করবে বয়স ত্রিশ পার হলেও। এক্ষেত্রে আপনার একটু সচেতনতা ও নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়াটাই জরুরি। সঠিকভাবে যত্ন নিলে ত্রিশের পরেও আপনার ত্বক দেখতে বিশ বছর বয়সীদের মতো লাগবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে যত্ন নেবেন-

১. শসা এবং দইয়ের ফেসপ্যাক

ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখতে ব্যবহার করতে পারেন শসা এবং দইয়ের ফেসপ্যাক। এতে মুখের কালচে দাগই কেবল দূর হবে না, সেইসঙ্গে ত্বকে বয়সের ছাপও রোধ হবে। এতে থাকে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য। যে কারণে মেলে উপকার। এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে শসা গ্রেট করে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে হবে। এরপর সেই ফেসপ্যাক মুখে লাগিয়ে রাখুন মিনিট বিশেক। এরপর ধুয়ে ফেলুন পরিষ্কার পানি দিয়ে।

২. নারিকেলের দুধ ব্যবহার

নারিকেলের দুধ ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এতে থাকে ভিটামিন ও মিনারেল। এটি মুখে ব্যবহার করলে ত্বকে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত আর্দ্রতা। এটি ব্যবহার করার জন্য নারিকেল কুড়িয়ে দুধ বের করে নিতে হবে। এরপর সেই দুধ মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে আধা ঘণ্টার মতো। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এটি ফেস টোনার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন। এতে উপকার পাবেন।

৩. পেঁপে ফেস মাস্ক

পাকা পেঁপে কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রয়েছে অনেক উপকারিতাও। আবার এটি মুখে মাস্ক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। পেঁপে অ্যান্টি-এজিং গুণে সমৃদ্ধ। যে কারণে এটি বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। পাকা পেঁপে পিষে নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর তা মুখে লাগিয়ে রাখুন আধাঘণ্টার মতো। এরপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

৪. গোলাপ জল

আপনার ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখতে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন গোলাপ জলের টোনার। এটি আমাদের মুখের মৃত কোষ দূর করতে কাজ করে। প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে গোলাপ জল লাগিয়ে নিন। এটি ত্বকের কোমলতা ধরে রাখে, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ডিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন ১৫০ কোটি টাকা Sep 18, 2025
img
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ প্রতিনিধি দলের সন্তোষ প্রকাশ Sep 18, 2025
img
সম্মেলনের আগে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ ফজলুর রহমানের Sep 18, 2025
img
‘বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারির মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানকে পাকাপোক্ত করতে হবে’ Sep 18, 2025
img
পাইক্রফটকে ‘ভারতের প্রিয় ম্যাচ রেফারি’ বললেন রমিজ রাজা Sep 18, 2025
img
পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি Sep 18, 2025
img
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো নিষিদ্ধ হয়ে যাক : ঐশী Sep 18, 2025
img
প্রতিটি ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান Sep 18, 2025
img
দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিচ্ছেন নাহিদ Sep 18, 2025
img
বাংলাদেশে সবচাইতে আগে জরুরি জাতীয় নির্বাচন : জিল্লুর রহমান Sep 18, 2025
img
মেটা উন্মুক্ত করলো নতুন ডিসপ্লে স্মার্ট গ্লাস Sep 18, 2025
img
গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল: বার্নি স্যান্ডার্স Sep 18, 2025
img
ঢাকায় আজ বিক্ষোভ করবে জামায়াতসহ ৭ দল Sep 18, 2025
img
জয়পুরহাটে ছাত্রদলের সম্মেলন ব্যর্থ, ৭ নেতাকে বহিষ্কার Sep 18, 2025
img
তোমার অভাব প্রতিটি মুহূর্তে অনুভব করি: অপু বিশ্বাস Sep 18, 2025
img
আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড Sep 18, 2025
img
সমুদ্রে পাওয়া গেল ৮ ধরনের ভারী খনিজ Sep 18, 2025
img
‘ডাইরেক্ট থ্রোতে’ মাথায় বল লেগে মাঠের বাইরে আম্পায়ার Sep 18, 2025
img

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে আলোচনা সভা

‘বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে, বুঝতে হবে’ Sep 18, 2025
img
ঢাবির পরিবহনে ডিজিটাল রূপান্তর, চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং অ্যাপ Sep 18, 2025