ইরানে পুরষ্কৃত জয়া আহসানের ‘ফেরেশতে’ সিনেমা

এপার-ওপার দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। নন্দিত এই অভিনেত্রীকে নিয়ে ‘ফেরেশতে’ সিনেমা তৈরি করেছেন ইরানের নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম। সেই সিনেমাটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে অর্জন করে নিয়েছে ইরানের জাতীয় পুরস্কার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।

পুরস্কারের পাশাপাশি, ‘ফেরেশতে’ সিনেমার প্রধান দুই অভিনেতা জয়া আহসান এবং সুমন ফারুককে ‘খয়র-ই-মান্দেগার’ স্মারক প্রদান করে সম্মানিত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিনেত্রী জয়া আহসান জানান, পুরস্কারটি প্রদান করা হয়েছে ‘খয়র-ই-মান্দেগার’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। যা ইরানের সব দাতব্য প্রতিষ্ঠান, দাতা, এনজিও’র প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রতিষ্ঠানটি ইরানে ইউনিসেফের মতো সক্রিয়।

অভিনেত্রী জয়াকে দেয়া স্মারকপত্রে বলা হয়, শিল্পের মাধ্যমে দানশীলতা দেখানো জীবনের সবচেয়ে সুন্দর চিত্র। যা কখনো কখনো মানুষকে তার নিজের প্রকৃতির মহাসাগরের গভীরে টেনে নিয়ে যায়। যাতে তার অস্তিত্বের মুক্তা আহরণ করতে পারে।

৪২তম ফাজর চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী সিনেমা হিসেবে প্রদর্শীত হয় ‘ফেরেশতে’। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান বিভাগের উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে জনগণ, সংবাদপত্র এবং সমালোচকদের দ্বারা সমাদৃত হয়। ইরানে ‘ফেরেশতে’ চলচ্চিত্রটি ‘দুরুগহায়ে যিবা’ নামে পরিচিত। এ সিনেমাতে জয়া আহসান ও সুমন ফারুক ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু, শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, শাহীন মৃধা, শিশুশিল্পী সাথী অভিনয় করেছেন।

ইরানে প্রতি বছর ফাজর চলচ্চিত্র উৎসবের পর, মানবাধিকার, শিক্ষা, পরিবেশ, দাতব্য কাজ ইত্যাদি বিভাগে ‘জাতীয় ইচ্ছার প্রতিফলন/বহিঃপ্রকাশ’ নামে সমাজের জন্য অনুকরণীয় চলচ্চিত্রগুলোকে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়।

প্রসঙ্গত, ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজমের সঙ্গে সিনেমাটি লিখেছেন বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুমিত আল-রশিদ। ফারসি ও বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছেন মুমিত আল-রশিদ ও ফয়সাল ইফরান। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘ফেরেশতে’র সহপ্রযোজক হিসেবে আছে ইমেজ সিনেমা, সি তে সিনেমা এবং ম্যাক্সিমাম এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশ।

Share this news on:

সর্বশেষ