রাজ মরে গেলেও দেখতে যাব না : পরীমণি

গেল বছর ঢাকাই চলচ্চিত্রের চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের বিচ্ছেদ হয়েছে। বিচ্ছেদের পরেও পরীর জীবন থেকে সরে যাননি রাজ। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেই তাকে করা হচ্ছে রাজকে নিয়ে নানা প্রশ্ন। আর তাতে ক্ষুব্ধ পরীমণি জবাবও দেন দাঁতভাঙা।

পরীমণি বর্তমানে কলকাতায় ‘ফেলুবক্সী’ শিরোনামে একটি সিনেমার শুটিং করছেন। সেখানেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এই অভিনেত্রী ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, রাজের প্রতি তার এতটাই অনাগ্রহ, যে প্রাক্তন স্বামীর মৃত্যুর পরও নাকি তাকে আর দেখতে যাবেন না তিনি।

ওই সাক্ষাৎকারে পরীমণিকে প্রশ্ন করা হয়- কখনও মনে হয় ছেলের জন্য শরিফুলকে আরও একটা সুযোগ দেবেন? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, নামই মুখে আনতে চাই না। এত ঘৃণা ওর প্রতি। কোনোদিন মরে গেলেও দেখতে যাব না। যে মানুষটা বেঁচে আছে সে অন্য মানুষ, যে আমার কাছে ছিল, সে আরও আগে মরে গিয়েছিল। সেই মৃতদেহটা দেখেছি। আসলে মানুষটা আমার কাছে ‘ডেড’।

প্রেমে বিশ্বাসী কি না কিংবা আর কখনও বিয়ে করবেন কি না, এ বিষয়ে পরীমণি বলেন, নাহ। আর প্রেমে বিশ্বাস নেই। জীবন থেকে উড়ে গিয়েছে। আমার ছেলেই আমার জীবনের একমাত্র প্রেম। ওর হাসি, কান্না সবকিছুতেই ভালোবাসা আছে। ওর আর আমার মাঝে কোনো সংশয় নেই। ও শুধু আমার।
পরীমণির মন খারাপ হয় কখন? উত্তরে তিনি বলেন, ছেলে যখন অসুস্থ হয়, তখন মনে হয়, জোরে একটা যদি চিৎকার দিতে পারতাম, যাতে হাসপাতালটা ফেটে যেত। ছেলে দুবার হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তখন ওইটুকু বাচ্চার হাতে স্যালাইন লাগানো।

পরীমণি বলেন, ওকে নিয়ে একা একা হাঁটছি। তখন মনে হয়েছিল, এই কষ্টটা আমার একার করার কথা ছিল না। তখন ওই মানুষটার ওপর আরও রাগ হয়। মানছি, বাবারা সব পারে না, কিন্তু দায় কি একা মায়ের?

নায়িকা বলেন, আমাকে যে রকম দেখতে লাগে, আমি সে রকমই। বাইরে ও ভিতরে। আমার মধ্যে কোনো ‘ফিল্টার’ নেই। আমার রাগটাও দেখা যায়। মনখারাপ দেখা যায়, কিছু পুষে রাখি না। এটা অনেকের সঙ্গে চলার জন্য হয়তো ভালো নয়। তবে আমার জীবনটা সিনেমা নয়, অত ‘ফিল্টার’ দিতে পারব না। আমাকে পোষালে ভালো, না পোষালে আরও ভালো।

এদিকে নির্মাণকাজ শেষের দিকে পরীমণি অভিনীত নির্মিতব্য ‘ডোডোর গল্প-Story of Dodo’ সিনেমার কাজ। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রেজা ঘটক। এতে পরীর বিপরীতে আছেন সাইমন সাদিক।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস Dec 12, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, তালিকায় ঢাকার অবস্থান দশম Dec 12, 2025
img
মাগুরায় অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৯৪ বস্তা সার জব্দ Dec 12, 2025
img
রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস Dec 12, 2025
img
নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে সদস্যদের প্রতি বিমানবাহিনী প্রধানের আহ্বান Dec 12, 2025
img
রাজধানীতে সিটি কর্পোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থীর Dec 12, 2025
img
নির্বাচন যত সহজ ভাবা হচ্ছে তত সহজ হবে না: তারেক রহমান Dec 12, 2025
img
সীমান্তে সংঘাতের মধ্যেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিল থাইল্যান্ড Dec 12, 2025
img
স্থায়িত্ব বজায় রাখাই বড় কাজ: প্রধান বিচারপতি Dec 12, 2025
img
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে : সেনাপ্রধান Dec 12, 2025
img
বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরিত Dec 12, 2025
img
ভোটগ্রহণে পর্যাপ্ত কর্মকর্তা না পাওয়া গেলে বেসরকারি ব্যাংক থেকে নিয়োগ Dec 12, 2025
img
দলমত নির্বিশেষে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করি : আব্দুল্লাহ Dec 12, 2025
img
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য-মালদ্বীপ ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে বৈঠক Dec 12, 2025
img
ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ল ১৬০৬ কোটি টাকা Dec 12, 2025
img
জাদুঘর থেকে ব্রিটিশ আমলের ৬০০ এর বেশি নিদর্শন চুরি Dec 12, 2025
img
ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ব্যবসায় জড়িত ৬ জাহাজের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা Dec 12, 2025
img
কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস আজ Dec 12, 2025
img
পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড Dec 12, 2025
img
রাখাইনে হাসপাতালে জান্তার বিমান হামলা, নিহত বেড়ে ৩৪ Dec 12, 2025