জধানীর বাজারগুলোতে হু হু করে বাড়ছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৬০ টাকায় উঠেছে। এ ছাড়া পাড়া বা মহল্লায় ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা দরে। দামবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ ডিম কম কিনছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধিতে নিত্যপণ্যটি কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি।
আজ শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে ডিমের সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে বেড়েই চলেছে দাম। ১০ থেকে ১৫ দিন আগেও খুচরা বাজারে লাল ডিমের ডজন ১২০ টাকা ছিল। কয়েকদিনের ব্যবধানে এখন সেটি ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। আর প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। আর সে হিসাবে প্রতি ডিমের দাম পড়ছে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা।
এদিকে, বাজারে প্রায় তিন-চার সপ্তাহ ধরে সবজির দাম চড়া। এক কেজি বেগুনের দাম এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কাকরোল-বরবটিরও এমন দর, এমনকি সস্তা দামে পরিচিত পেঁপের কেজিও এখন ৮০ টাকা। বাজারে পেঁয়াজের দাম নতুন করে বাড়তে দেখা গেছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। আদা ও রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকার নিচে মিলছে না।
মুরগির বাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি আগের দামেই বিক্রি হলেও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা। যা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ৮০ টাকা। তবে ব্রয়লার কেজিপ্রতি ২২০ থেকে ২৩০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে।
নিজাম নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘চাকরি খোঁজার জন্য ঢাকায় একটি মেসে থাকেন। আয় কম বলে ডিমের ওপরে বেশি ভরসা থাকে। আজকে সেই ডিমের দাম বাড়ার কারণে কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে মেসে মিলের দাম বেড়েছে।’
ডিম বিক্রেতা কালাম খান বলেন, ‘কিছু দিন ধরে ডিমের দাম বাড়ছে। কিছু দিন আগে যেই ডিমের ডজন বিক্রি করেছি ১২০ টাকায়, এখন সেটা ১৬০ টাকা। আর হালি বিক্রি করছি ৫৫ টাকায়। আমরা যখন পাইকারি বাজার থেকে ডিম আনি বা দোকানে দিয়ে যায়, তারা ডিমের বাড়তি দামের কিছু কারণ দেখিয়েছে। আসলে অতিরিক্ত গরমের কারণে প্রান্তিক পর্যায়ে ডিমের উৎপাদন কম হয়েছে, ফলে বাজারে সরবরাহ কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।’
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে দেশি ও চাষের মাছ।