লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন নিকোলাস মাদুরো। এ নিয়ে তিনি তৃতীয় মেয়াদে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় রোববার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাতে নিকোলাস মাদুরোকে তৃতীয় মেয়াদে জয়ী ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ। যদিও বেশ কয়েকটি বুথ ফেরত জরিপে বিরোধী প্রার্থীর জয়ের আভাস দেয়া হয়েছিল
ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিলের প্রধান এলভিস আমরোসো বলেছেন, মাদুরো ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে বিরোধী প্রার্থী এডমুন্ডো গঞ্জালেজকে পরাজিত করেছেন। এডমুন্ডো ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
এর আগে স্থানীয় সময় রোববার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। তখন থেকে উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করেন কোটি কোটি ভোটার।
১১ বছর ধরে ক্ষমতা ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপ্রধান নিকোলাস মাদুরো। এবারই বিরোধীদের তরফ থেকে সবচেয়ে কঠিন নির্বাচনী লড়াইয়ের মুখোমুখি হন তিনি। তাকে সরাতে সব বিরোধ-বিভেদ ভুলে এক হয়ে নির্বাচন করেছেন বিরোধী দলগুলোর নেতারা।
ভেনেজুয়েলায় এবারের নির্বাচনে ২ কোটি ১০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার ছিল। তাদের ওপর ভর করেই নিকোলাস মাদুরোর ইউনাইটেড সোশ্যালিস্ট পার্টির ২৫ বছরের রাজত্বের অবসান ঘটাতে চাইছেন বিরোধীরা। মাদুরো ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকলেও তার দল ২৫ বছর ধরে দেশটি শাসন করছে।
২০১৩ সালে বামপন্থী নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ ক্যান্সারে মারা গেলে ক্ষমতায় আসেন মাদুরো। এবার শ্যাভেজের ৭০তম জন্মবার্ষিকীর দিনে দেশটিতে ভোট হয়েছে। এই নির্বাচনে ৬১ বছর বয়সী মাদুরো তৃতীয় মেয়াদে দেশটির ক্ষমতায় এলেন।
এত বছর বিরোধীরা নিজেদের মধ্য বিভিন্ন ইস্যুতে ফাটল জিইয়ে রেখেছিলেন। এই সুযোগে নিজের ক্ষমতার মসনদ পাকাপোক্ত রাখতে পেরেছিলেন মাদুরো। তবে এবার বিরোধীরা সেসব বিভেদ ভুলে মাদুরো সরকার হঠাতে একাট্টা হয়েছিল। সব বিরোধী দল মিলে একজনকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। তার নাম এডমুন্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া। বয়স ৭৪ বছর। প্রধান বিরোধী দলের নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে সরকারি দায়িত্ব গ্রহণে নিষিদ্ধ করার পর তাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে এত কিছু করেও মাদুরোকে হটাতে পারেনি তারা। বিস্তর আশা-ভরসার কথা শোনালেও শেষ পর্যন্ত জনরায় মাদুরোর পক্ষেই গেল।