শ্রাবণের বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কোটা আন্দোলনে প্রাণহানির বিচার চেয়ে সমাবেশ, মিছিল, মানবন্ধন হয়েছে। এতে অংশগ্রহণকারীরা দাবি করেন অবিলম্বে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার। এছাড়াও যে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে তা বন্ধেরও জোর দাবি জানান তারা।
কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘাত- সহিংসতায় প্রাণহানির নিন্দা ও দায়ীদের বিচার দাবি করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন চিকিৎসক-মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীরা। শ্রাবণের বৃষ্টির মাঝেই চলে কর্মসূচি। এতে অবিলম্বে সব প্রাণহানির সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন অংশগ্রহণকারীরা। এছাড়া নিরপরাধদের কারামুক্তিরও দাবি জানান তারা।
সমাবেশে অংশগ্রহণ নেয়া শিক্ষক বলেন, নিজের দেশের বাহিনী যখন আমাদের বাচ্চাদেরকে গুলি করে মারা হয় তখন সহ্য হয় না। এই জুলুম অত্যাচারের জন্য আমরা প্রতিবাদ জানাই।
এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেও কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও প্রাণহানির নিন্দা জানিয়ে হয় সাংস্কৃতিক সমাবেশ। এছাড়া রাজধানীর বাংলা মোটরে মানবন্ধন করেন বিক্ষুব্ধ লেখক-সাহিত্যিকরা। আর কারওয়ান বাজারে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদেও হয় মানবন্ধন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকরীরা বলেন, চার বছরের একটা শিশু এখন বাসায় নিরাপদ না। এখানে গণতন্ত্র কোথায়, স্বাধীনতা কোথায়। এর বিচার চাই। শুরুতে এই আন্দোলন কোটা সংস্কার নিয়ে ছিল, এখন এই আন্দোলন রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য। প্রশাসন সংস্কারের জন্য আন্দোলন।
রাজধানীর আফতাবনগরে ব্র্যাক ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে। কড়া পুলিশি পাহারায় মিছিলটি রামপুরা ব্রিজ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে আবার ইস্ট-ওয়েস্টের সামনে শেষ হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, লোক থেকে লোকান্তরে এই আন্দোলন মোটিভ ছড়িয়ে গেছে। আন্দোলনের এই আগুন, শিক্ষার্থীদের বুকে যেই বারুত সেটি বাংলাদেশের লোক থেকে লোকান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। আজকের এই ইন্টারনেটের যুগে চাইলেই কিছু চাপিয়ে রাখা যাবে না।