টানা এক বছরের আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার পর এবার মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অংশে নজর ফেলেছে ইসরায়েল। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে লেবাননজুড়ে হামলা চলাচ্ছে দখলদাররা। এরই মধ্যে নতুন করে ইয়েমেনেও বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, হুথি গোষ্ঠীকে টার্গেট করে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ইয়েমেনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অন্তত চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। বিমান হামলার কারণে বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে গত নভেম্বর থেকে ইসরায়েল ও ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে হুথিরা।
এদিকে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার পরও দেশটিতে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত ২৪ ঘণ্টায়
লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি বোমা হামলায় আরও অন্তত ১০৫ জন নিহত হয়েছেন। দখলদার দেশটির হামলায় এখন পর্যন্ত ৮০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ইসরায়েল এখন লেবাননে স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গত বছরের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মিত্র হামাসের সমর্থনে ইসরায়েলে নানা সময় ছোট আকারে হামলা করেছে হিজবুল্লাহ। বলা হয়, হিজবুল্লাহর প্রধান সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ ইরান।
চলতি বছরের মে মাসে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান। যদিও অনেকের ধারণা এর পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে। রাইসির মৃত্যুর এক মাস পরই (জুলাই) ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে ‘গুপ্ত হামলা’ চালিয়ে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর থেকেই ইসরায়েলে ধারাবাহিক হামলা শুরু করে লেবাননের হিজবুল্লাহ।