জাপানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল ক্ষমতাসীন দল

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট জাপানের সাধারণ নির্বাচনে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।। এবারের নির্বাচনে এককভাবে দলটি গতবারের চেয়ে অনেক কম আসনে জয়ী হয়েছে। এমনকি জোট গঠন করেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারেনি এলডিপি।

সোমবারের (২৭ অক্টোবর) নির্বাচনে অনুমান নির্ভর ফলাফলে দেখা গেছে, এবার বিপুল সংখ্যক নারী পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এদের মধ্যে ১৬ শতাংশেরও কম সংখ্যালঘু। দেশটির সরকারি সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ এনএইচকে অনুমান করেছে, নিম্নকক্ষের ৪৬৫টি আসনের মধ্যে নারীরা জয়ী হয়েছেন ৭৩টি আসনে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এলডিপি ও কোমেই জোট পেয়েছে ২০৮টি আসন। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলোর সম্মিলিত আসন সংখ্যা ২৩৫। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ২৩৩ আসন।

দেশটিতে ২৭ অক্টোবর রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। নির্বাচনে ২ কোটি ৯ লাখ ৫৫ হাজার ভোটার ভোট দিয়েছেন। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরই শুরু হয় ভোট গণনা। একে একে প্রকাশ হতে থাকে ফল।

জাপানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে মোট আসন ৪৬৫টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ২৩৩ আসন। গতবার এলডিপি একাই পেয়েছিল ২৪৭ আসন।

তবে, এবার জোট করেও নির্দিষ্ট আসন পাচ্ছে না এলডিপি ও কোমেই। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলোর সম্মিলিত আসন সংখ্যা গতবারের চেয়ে অনেক বেশি। সবচেয়ে ভালো অবস্থানে প্রধান বিরোধীদল সিপিডি।

গত মাসে ক্ষমতাসীন এলডিপির প্রধান নির্বাচিত হন ইশিবা শিগেরু। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার তিন দিনের মাথায় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন তিনি।

বিভিন্ন গণমাধ্যম বলেছে, দলীয় প্রধান হওয়ার পর এলডিপির আর্থিক কেলেঙ্কারি সামাল দিতে পদক্ষেপ নেন ইশিবা। যা ভোটারদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভোটারদের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী অনেক নেতাকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন ইশিবা। ফলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নাগরিকদের সমর্থন দ্রুত কমে যায়।

ভোটের আনুষ্ঠানিক ফলাফলের মধ্য দিয়ে ইশিবা তার নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারবেন কি-না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ডেঙ্গুতে একদিনে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬১৫ Nov 26, 2025
img
কড়াইল বস্তিতে হাইটেক পার্ক করার বিষয়ে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের মন্তব্য Nov 26, 2025
img
কুমিল্লায় যুবদল ও ছাত্রদলের ২ কর্মী আটক Nov 26, 2025
img
বিএনপির শূন্য রাখা দিনাজপুর-৫ আসনে আলোচনায় এনসিপির ডা. আহাদ Nov 26, 2025
img
রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নারী পলিসি নিয়ে জবাবদিহি করতে হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ Nov 26, 2025
img
সাবেক আইজিপি বেনজীরের স্ত্রী-মেয়ের আয়কর নথি জব্দ Nov 26, 2025
img
নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের চূড়ায় উঠতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ জনের Nov 26, 2025
img
ভালোবাসা আর ঈশ্বরের দয়া নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি অভিনেত্রী রানী মুখার্জির Nov 26, 2025
img
ঢাকা এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল শহর, শীর্ষে জাকার্তা Nov 26, 2025
img
পুঁজিবাজারে অধিকাংশ শেয়ারে দরপতন, কমেছে লেনেদেনও Nov 26, 2025
img
ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা Nov 26, 2025
img
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে জার্মান রাষ্ট্রদূতের প্রতিক্রিয়া Nov 26, 2025
img
বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ প্রসিকিউশনের Nov 26, 2025
img
রাষ্ট্র কাঠামোর ভেতরেই বৈষম্যের শিকড় আটকে আছে: উপদেষ্টা শারমীন Nov 26, 2025
img
সারের দাম নজরদারিতে ব্যর্থ হলে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: কৃষি উপদেষ্টা Nov 26, 2025
img
প্রাণীসম্পদ খাতকে উন্নত করতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন : পরিকল্পনা উপদেষ্টা Nov 26, 2025
img
তারকা স্পিনার আবরার আহমেদকে দলে ভিড়িয়েছে চট্টগ্রাম রয়্যালস Nov 26, 2025
বিয়ে করছেন রোনালদো-জর্জিনা, কবে ও কোথায় হবে অনুষ্ঠান Nov 26, 2025
img
এবার লটারির মাধ্যমে ওসি নিয়োগ দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Nov 26, 2025
img
দুর্নীতির মামলায় সাকিবসহ ১৫ জনের প্রতিবেদন পেছাল আরও ৪ মাস Nov 26, 2025