২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ১ লাখ ৩ হাজার ২৫৮ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৩ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৭১২ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ১ লাখ ৩ হাজার ২৫৮ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ৪৭ জন নিহত এবং আরও ১৮২ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত, ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শহীদদের স্মরণ করে দেশের তিনটি স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন Nov 14, 2024
img
ফের কমলো স্বর্ণের দাম, ভরিতে কত Nov 14, 2024
img
গণঅভ্যুথানে আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে Nov 14, 2024
img
ভারতীয় গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার বক্তব্য-বিবৃতি নিয়ে ঢাকার অসন্তোষ Nov 14, 2024
img
সময় বাড়ছে না হজ নিবন্ধনের, শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর Nov 14, 2024
img
এআই ফিচার নিয়ে নজর কাড়ল ভিভো ভি৪০ লাইট Nov 14, 2024
img
থেরেসা মে’র সঙ্গে বৈঠক, শ্রম খাত সংস্কারের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার Nov 14, 2024
img
আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে সরকার বদ্ধপরিকর: ফরিদা আখতার Nov 14, 2024
img
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চায় আজারবাইজান Nov 14, 2024
img
বোমাতঙ্কে ১৯৩ আরোহীর কলকাতাগামী বিমানের জরুরি অবতরণ Nov 14, 2024