মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ক্ষমতাধর ও শক্তিশালী দেশ ইরান। ফিলিস্তিনি, সিরিয়া, ইরাক থেকে শুরু করে ইয়েমেন, লেবানন পর্যন্ত বিস্তৃত দেশটির প্রভাব বলয়। শিয়া প্রধান ইরানের এমন আধিপত্যে দিশেহারা যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের ওপর চাপ বাড়াতে গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) তেহরানের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস করে জাতিসংঘের আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ। তবে তাদের এমন পদক্ষেপ মোটেই ভালোভাবে নেয়নি তেহরান। উল্টো এমন পদক্ষেপের জবাবে নিজেদের পরমাণু কর্মসূচি আরও জোরদারের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
সিএনএনের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) নতুন উন্নত সেন্ট্রিফিউজ সক্রিয় করার ঘোষণা দেয় ইরান। এসব সেন্ট্রিফিউজ দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। তার আগের দিন জাতিসংঘের আণবিক শক্তি সংস্থা সহযোগিতা না করার জন্য ইরানের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস করে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, ইরান বিভিন্ন ধরনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন ও উন্নত সেন্ট্রিফিউজ সক্রিয় করবে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আণবিক শক্তি সংস্থার এক যৌথ বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।
এই পদক্ষেপগুলো দেশের স্বার্থ রক্ষা এবং শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তির আরও উন্নয়নের জন্য নেয়া হচ্ছে। জাতীয় চাহিদা ও ইরানের অধিকারের সঙ্গে মিল রেখেই এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সেন্ট্রিফিউজে গ্যাস প্রবেশ করানো হয়। পরবর্তীতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে এসব ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও ইরানের দাবি, পারমাণবিক বোমা তৈরির ইচ্ছা তাদের নেই।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আইএইএ একটি প্রস্তাব পাস করে। সেখানে ইরানকে তাদের সঙ্গে দ্রুত সহযোগিতা বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়। এক বিবৃতিতে আইএইএ বলেছে, তারা চায় ইরান যেন তাদের পূর্ণ সহায়তা করে। আর তা নিশ্চিত করতে আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।