লেবাননে যুদ্ধবিরতি শুরু

অবশেষে লেবাননে যুদ্ধবিরতি শুরু হলো। এক বছরের বেশি সময় পাল্টাপাল্টি হামলা শেষে যুদ্ধবিরতিতে গেল ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ। তাদের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি বুধবার (২৭ নভেম্বর) স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে (বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা) কার্যকর হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় এ চুক্তির মেয়াদ থাকবে ৬০ দিন। পরবর্তীতে এটি আবারও বৃদ্ধি করা হবে। খবর রয়টার্সের।

মঙ্গলবার ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি সম্ভব হয়েছে।

হোয়াইট হাউসে বক্তব্য দেয়ার সময় বাইডেন বলেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ১০-১ ভোটে এই চুক্তি অনুমোদন করেছে। তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে কথা বলেছেন। সংঘর্ষ স্থানীয় সময় ভোর ৪টা (বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা) শেষ হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, এই চুক্তি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য তৈরি করা হয়েছে। হিজবুল্লাহ ও অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠন ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে আর হুমকির মুখে ফেলতে পারবে না। উভয় পক্ষের বেসামরিক জনগণ শিগগিরই নিরাপদে তাদের নিজ নিজ কমিউনিটিতে ফিরে যেতে পারবে।

প্রাথমিক অবস্থায় এ চুক্তির মেয়াদ থাকবে ৬০ দিন। পরবর্তীতে এটি আবারও বৃদ্ধি করা হবে। এ চুক্তির মধ্য দিয়ে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটতে যাচ্ছে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সংঘাতে হাজার হাজার সামরিক ও বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার অজুহাতে গাজায় বড় ধরনের সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। একই সময়ে লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গেও সংঘাত শুরু হয় তাদের। প্রথমে থেকে থেকে সংঘর্ষ হলেও চলতি বছরের অক্টোবরে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধ নতুন রূপ নেয়।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সালমান শাহ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি সামিরা হকের আগাম জামিন আবেদন Oct 28, 2025
img
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর Oct 28, 2025
img
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নিয়ে জরুরি নির্দেশনা Oct 28, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দরে বিপজ্জনক ১৯ কন্টেইনারের পণ্য ধ্বংস Oct 28, 2025
img
ইনু-হানিফের বিচার শুরু হবে কিনা আদেশ ২ নভেম্বর Oct 28, 2025
img
উপহার দিয়েও বিদ্রূপের শিকার অমিতাভ বচ্চন Oct 28, 2025
img
ধর্মকে বিকৃত করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা জনগণ মেনে নেবে না: ফারুক Oct 28, 2025
img
এবার হলিউডে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন সৃজিত মুখার্জি! Oct 28, 2025
img
ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেলের জন্য মনোনয়ন দেবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী Oct 28, 2025
img
সফল কোচ হতে চাই না, ভারতকে ‘ভয়ডরহীন’ বানাতে চাই: গৌতম গম্ভীর Oct 28, 2025
রজনীকান্তের সঙ্গে এক পর্দায় আসছেন বিদ্যা বালান Oct 28, 2025
img
ইসির সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জামায়াত Oct 28, 2025
img
হতাশাগ্রস্ত থেকে বিতর্কিত মন্তব্য করার দাবি সেই রাবি অধ্যাপকের Oct 28, 2025
img
সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়রসহ ৫ আওয়ামী নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Oct 28, 2025
img
৩০ বছর ধরে যন্ত্রণা ভোগ করছি, এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার : ডন Oct 28, 2025
img
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রতিনিধিরা যমুনায় Oct 28, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরলেও নির্বাচন হবে এ সরকারের অধীনেই: শিশির মনির Oct 28, 2025
img
ভেনেজুয়েলায় মাদুরোর দিন ফুরিয়ে আসছে : রিক স্কট Oct 28, 2025
img
এআই ড্রোন ও রোবট কুকুরে চীনে সামরিক বিপ্লব Oct 28, 2025
img
ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলো মোন্থা, বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ১১০ কি.মি. Oct 28, 2025