‘ঘরের মাঠে আমরাই ফেভারিট’ এই কথাটি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে মাঠে নামার আগে নিগার সুলতানা জ্যোতি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। আর টাইগ্রেস অধিনায়ক যে ভুলকিছু বলেননি ব্যাটে-বলে পারফরম্যান্স তা প্রমাণ দিয়েছেন নাহিদা-শারমিনরা। আইরিশদের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১৯৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ৫ উইকেট এবং ৩৭ বল হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। দলীয় ১৭ রানেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মুর্শিদা খাতুন। ১৪ বলে ৬ রান করেন তিনি।
তৃতীয় উইকেটে শারমিন আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার ফারজানা হক। দুজনের ব্যাটে ভর করে শুরু ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগ্রেসরা। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি শারমিন।
৬৩ বলে ৪৩ রান করে আউট হন তিনি। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন ফারজানা। তবে এরপর আর পিচে থাকতে পারেননি তিনি। ৮৯ বলে ৫০ রান করে ক্যাচ আউট হন এই টাইগ্রেস ওপেনার।
এরপর সোবহানা মোস্তারিকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। মোস্তারি ১৬ রান করে আউট হলে ৪০ রান করে তাকে সঙ্গ দেন জ্যোতি।
শেষ পর্যন্ত স্বর্ণা আক্তারের অপরাজিত ২৯ রানে ভর করে ৫ উইকেট এবং ৩৭ বল হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এতে এক ম্যাচ আগে সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগ্রেসরা।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন লরা ডেলানি। এ ছাড়াও ওলা প্রেন্ডারগাস্ট, আভা ক্যানিং, আর্লেন কেলি একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক গ্যাবি লুইস (২)। ৩৪ বলে ১৩ রান তাকে সঙ্গ দেন আরেক ওপেনার সারাহ ফোর্বস।
তৃতীয় উইকেটে ওলা প্রেন্ডারগাস্টকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অ্যামি হান্টার। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১০০ রানের কোটা পার করে আইরিশরা।
৩৫তম ওভারে স্বর্ণার আক্তারকে বোলিংয়ে আনেন জ্যোতি। ওভারের প্রথম বলে রান আউটে কাটা পড়েন প্রেন্ডারগাস্ট। ৩৭ রান করেন তিনি। একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে হান্টার। ৬৮ রান করেন তিনি। এতে দলীয় ১২৭ রানে ৪ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
এরপর লিয়া পলকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন লরা ডেলানি। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি পল। ২৫ বলে ১০ রান করেন তিনি। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকের ডেলানি।
শেষ দিকে ৩৩ রান করে ডেলানি রান আউট হলে উনা রেমন্ড-হোয়ের অপরাজিত ২১ রানে ভর করে ১৯৩ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছিল আয়ারল্যান্ড।