২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় আজ

আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) ও আপিলের রায় আজ ঘোষণা করা হবে। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করবেন।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের রায় দেবেন হাইকোর্ট।

শিশির মনির আরও বলেন, রোববারের কার্যতালিকায় ৫৪ ও ৫৫ নম্বর ক্রমিকে রায়ের জন্য রাখা হয়েছে মামলাটি। গত ৩১ অক্টোবর এর শুনানি শুরু হয়েছিল।

এর আগে, গত ২১ নভেম্বর এই মামলার ডেথ রেফারেন্স এবং বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিল শুনানি শেষ হয়। ওই দিন মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় রায়ের জন্য আজ মামলা দুটি আদালতের কার্যতালিকায় উঠছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলটির নেতাকর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ কয়েকশ নেতাকর্মী। ওই হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত মামলা দুটির রায় দেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দেন বিচারিক আদালত।

মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ২০১৮ সালে এটি হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে, কারাগারে থাকা দণ্ডিত ব্যক্তিরা কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দুই মামলায় আলাদা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন। হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর একটি দ্বৈত বেঞ্চে শুনানি শুরু করে।

তবে সরকার বদলের পর দ্বৈত বেঞ্চের একজন বিচারপতি পরিবর্তন হলে আপিল শুনানির বেঞ্চ পুনর্গঠন হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ অক্টোবর নতুন করে আবারও আপিলের শুনানি শুরু হয় নবগঠিত বেঞ্চে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পতাকা বৈঠকের একদিন পর বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ Dec 13, 2025
img
রাজধানীতে অপরিবর্তিত থাকবে তাপমাত্রা Dec 13, 2025
img
১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের Dec 13, 2025
img
বিশ্বকাপ টিকিটের আকাশছোঁয়া দামের পরও আবেদন ৫০ লক্ষ Dec 13, 2025
img
নো মেকআপ লুকে জয়া আহসান! Dec 13, 2025
img
সন্ত্রাসীদের পেছনের শক্তি কারা স্পষ্ট করতে হবে : জামায়াত আমির Dec 13, 2025
img
আশার গল্প শোনানোর মতো পরিস্থিতি নেই, হাদির অবস্থা প্রসঙ্গে বিশেষ সহকারী Dec 13, 2025
img
সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মামলা রেডিটের Dec 13, 2025
img
১৩ ডিসেম্বর: ইতিহাসে এই দিনে আলোচিত কী ঘটেছিল? Dec 13, 2025
img
টানা ৩ দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ Dec 13, 2025
img
ভারত মহাসাগরে চীন থেকে ইরানগামী জাহাজে অভিযান মার্কিন বাহিনীর Dec 13, 2025
img
ঝগড়ার সময় যুক্তি দিয়ে বোঝানোর ভুল পথ: ভিকি কৌশল Dec 13, 2025
img
লক্ষ্মীপুরে নির্বাচন কার্যালয়ে দুর্বৃত্তের আগুন Dec 13, 2025
img
'তুমিহীনা' সম্পূর্ণ আমার মতো একটি গান: নদী Dec 13, 2025
img
নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন নায়িকা পলি Dec 13, 2025
img
সংকটাপন্ন হাদীর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Dec 13, 2025
img
ওসমান হাদিকে নিয়ে বিসিবির মন্তব্য Dec 13, 2025
img
তারকা সংগীতশিল্পী ক্যামরিন ম্যাগনেসের আকস্মিক মৃত্যু Dec 13, 2025
img
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা ২০ মার্কিন অঙ্গরাজ্যে Dec 13, 2025
img
শেষ জীবনে ধর্মেন্দ্রর কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হতো না হেমাকে Dec 13, 2025