বেন্ডস্টার বিবৃতি : ই-সিগারেট নিয়ে সরকারের বাস্তবসম্মত উদ্যোগের প্রশংসা, আরও আলোচনার আহ্বান

ই-সিগারেটের উপর প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশংসা করেছে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেন্ডস্টা)। ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (২০১৩ সালের সংশোধিত)-এর আওতায় প্রস্তাবিত এ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তাদের উদ্বেগ বিবেচনা করায় সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও জোরালো আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

গত ২২ অক্টোবর ২০২৪ এক প্রেস কনফারেন্সের বিবৃতিতে ই-সিগারেটের ওপর প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে বাস্তবসম্মত ও ভারসাম্যপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে বেন্ডস্টা। প্রেস বিবৃতিতে বেন্ডস্টা উল্লেখ করে, এই খাত সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ১০ হাজারের বেশি মানুষের জীবিকার সঙ্গে জড়িত। এ শিল্পের ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তা এর বাজারকে অনিয়ন্ত্রিত করে তুলতে পারে। বৃদ্ধি পেতে পারে ভেপিং পণ্যের অবৈধ বাজার। এতে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানে আঘাত আসবে এবং সরকার রাজস্ব হারাবে। পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যও ঝুঁকির মুখে পড়বে।

পরবর্তীতে, ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, একটি ‘হাই-পাওয়ার্ড অ্যাডভাইজরি কমিটি’ গঠন করা হবে এবং ওই কমিটি রাজস্ব বিবেচনায় আইনটির পরিমার্জন করতে নতুন করে ভাবতে পারে। সরকারের এ পদক্ষেপে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বেন্ডস্টা। এতে অংশগ্রহণমূলক ও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পথ সুগম হবে বলে মনে করে সংগঠনটি।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পর্যালোচনার জন্য গঠিত পরামর্শক কমিটিতে স্টেকহোল্ডারদের মতামত অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বেন্ডস্টা। সংগঠনটির দাবি, তাদেরকে এ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করলে তা জনস্বাস্থ্য লক্ষ্য অর্জনে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

বেন্ডস্টা বলছে, জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য তামাকের ক্ষতি হ্রাসকে অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা ও আলোচনার মাধ্যমে এ সম্পর্কে বিভ্রান্তি দূর করে ধূমপান কমানো ও কর্মসংস্থান রক্ষার মতো নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইলিয়াসের গায়ে হাত দিলে আমি তারে ছাইড়া দিবো না Sep 19, 2025
img
টেকনাফের গহীন পাহাড়ে বন্দি ৬৬ জনকে উদ্ধার Sep 19, 2025
img
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণ Sep 19, 2025
img
রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি Sep 19, 2025
img
ওয়েলালাগের বাবা আর নেই শুনে ‘সরি’ বললেন নবি Sep 19, 2025
img
ঢাকায় ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে আ.লীগের ১১ জন গ্রেপ্তার Sep 19, 2025
img
সুপার ফোরে কবে কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ Sep 19, 2025
img
দুনিথ ওয়েলালাগের বাবা আর নেই Sep 19, 2025
img
আফগানদের হারিয়ে বাংলাদেশকে নিয়েই সুপার ফোরে গেল শ্রীলঙ্কা Sep 19, 2025
img
চবি ভিসি-প্রোভিসির সঙ্গে স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা উপদেষ্টার মতবিনিময় Sep 19, 2025
img
কাশিমপুর থানা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গ্রেপ্তার Sep 18, 2025
img
জ্যান ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ড ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া Sep 18, 2025
img
ইউরোপে ‘রোহিঙ্গা সংকট’ তুলে ধরার আশ্বাস দিল প্রতিনিধি দল Sep 18, 2025
img
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল Sep 18, 2025
img
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: প্রধান উপদেষ্টা Sep 18, 2025
নাহিদ ইসলামকে জেরা শেষে যা বললেন আসামি পক্ষের আইনজীবী Sep 18, 2025
img
আসিফ মাহমুদের নতুন এপিএস রাহাত Sep 18, 2025
img
মিথ্যা বলেছিলেন টিউলিপ: দ্য টাইমস Sep 18, 2025
img
প্রথম প্রেম মনে করার দিন আজ Sep 18, 2025
img
হিমাচলে বন্যার্তদের তোপের মুখে কঙ্গনা Sep 18, 2025